Site icon Jamuna Television

সাম্য হত্যা: ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৮ আসামির ৫ বছর করে কারাদণ্ড

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আলোচিত স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও অপর আট আসামিকে ৫ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আট আসামির প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সকলেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত তিন আসামি হলেন, শাহারিয়ার সরকার হ্নদয়, রাকিবুল হাসান সজিব ও মাহামুদুল হাসান জাকির প্রধান। এদের মধ্যে হ্নদয় ও জাকির নিহত সাম্যর সহপাঠী।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আট আসামি হলেন, মাসুদ প্রধান সুজন, আল-আমিন ইসলাম, আল-আমিন, রাবেয়া বেগম, শিমুল মিয়া, রুনা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক কাউন্সিরর জয়নার আবেদিন। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলেই গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা।

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রায়ে অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সাম্যর পরিবার।

মামলার রায়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ ও প্রতিহিংসার জেরে পরিকল্পিতভাবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পরোস্পর যোগসাজসে সাম্যকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখে।

গত ৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করে আদালত। এ মামলায় আদালতে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি হয়। প্রায় সাড়ে চার বছর মামলার বিচার কার্যক্রমে গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন ও জেলা জজ আদালতে ১৭ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের একমাত্র ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহরণ হয়। পরদিন বর্ধনকুঠি বটতলার কমিউনিটি সেন্টারের সেপটিক ট্যাংক থেকে সাম্যর হাত-পা বাঁধা বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার ঘটনায় ৯নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনকে প্রধান এবং সাম্যের সহপাঠিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন সাম্যর বাবা। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১১ মার্চ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

Exit mobile version