Site icon Jamuna Television

রাজদায়িত্ব ছাড়ায় ২৫ কোটি টাকা ‘বাড়িভাড়া’ পরিশোধ করতে হবে হ্যারি-মেগানকে

এখন থেকে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল তাদের রাজকীয় উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, তাদের সরকারি বাসস্থান ফ্রগমোর কটেজ সংস্কার করতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে সেটিও পরিশোধ করতে হবে তাদের। সেটি নেহায়েত কম নয়- ৩.১ মিলিয়ন ডলার! বাংলাদেশি টাকায় ২৫ কোটিরও বেশি।

শনিবার বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির এ তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজ পরিবারের মর্যাদা ত্যাগ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন জীবনযাপনের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে রাজপরিবারে ঝড় ওঠে। নানা ঘটনাপ্রবাহের পর রানি এলিজাবেথ তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম্মতি দেন।

তবে রাজপরিবারের মর্যাদা হারালেও হ্যারি–মেগান দম্পতি তাদের বাসস্থান ফ্রগমোর কটেজেই থাকতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রেও রাজপরিবারের দায়িত্ব ছাড়ার মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের। উইন্ডসর ক্যাসেল সংলগ্ন এই কটেজের ব্যবস্থাপনা খরচসহ সকল ব্যয় তাদের নিজেদের পকেট থেকে দিতে হবে। অর্থাৎ সরকারি খরচে থাকা খাওয়ার সুবিধা আর পাচ্ছেন না তারা।

ফ্রগমোর কটেজ সংস্কার বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে যে ৩.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে (বাংলাদেশি টাকার ২৫ কোটিরও বেশি) সেটিও পরিশোধ করতে হবে এই দম্পতিকে। রাজপরিবারের গৃহনির্মাণ ও সংস্কার সংক্রান্ত এ সকল ব্যয় জনগণের অর্থে নির্বাহ করা হয়।

অবশ্য, শনিবার বাকিংহাম প্যালেস মারফত প্রকাশ পাওয়া হ্যারি-মেগানের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফ্রগমোর কটেজের সংস্কার খরচ তারা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দ্রুত পরিশোধের ব্যাপারে আশাবাদী।

নানা নাটকীয়তা শেষে রাজপরিবার ছাড়লেন প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার কনিষ্ঠপুত্র। অবশ্য, ডায়ানার রাজপরিবার ছাড়া নিয়ে যে টানটান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেটি এবার সামাল দিতে পেরেছে রাজপরিবার।

Exit mobile version