Site icon Jamuna Television

‘বন্দুকযুদ্ধে’ খুনের মামলার আসামি নিহত

স্টাফ রিপোর্টার,নাটোর
নাটোরের গুরুদাসপুরের বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম হত্যা মামলার আসামি হানিফ শেখ পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল,একটি পাইপগান ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম ও রুবেল হোসেন।

নিহত হানিফ শেখ উপজেলার কালাকান্দার গ্রামের রুহুল শেখের ছেলে। গতরাতে উপজেলার পার গুরুদাসপুরের একটি কলা বাগানে এই ঘটনা ঘটে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৬ জানুয়ারি নাটোরের গুরুদাসপুরের পার গুরুদাসপুর গ্রামের অবঃ প্রাথমিক শিক্ষক হাতেম আলীর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরর পর তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় এই মামলার আসামিদেরকে সনাক্ত করা হয়। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডা এলাকা হতে ওই হত্যা মামলার ভাড়াটে খুনি আবু হানিফ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে রাজধানীর বনশ্রী এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার কল্যাণপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে গতরাতে তার দেওয়া তথ্যমতে পার গুরুদাসপুর এলাকায় উক্ত হত্যা মামলার সহযোগীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পার গুরুদাসপুর হতে কালাকান্দর সংযোগ সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত কলাবাগানে অবস্থানরত পলাতক আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের সাথে তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে গ্রেফতারকৃত হানিফ শেখ পলানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় অন্যরা সবাই পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি দেশীয় পাইপগান এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ আহত হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিহত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা,ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

Exit mobile version