Site icon Jamuna Television

কে সিনিয়র, কোচ মিসবাহ না খেলোয়াড় শোয়েব?

কোচ মিসবাহ-উল-হকের চেয়েও কিনা সিনিয়র শোয়েব মালিক! ভরা মজলিসে (পড়ুন প্রেস কনফারেন্সে) পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকই কিনা এই মন্তব্য করে বসলেন। আর তাতে শোয়েবও কিছু সময়ের জন্য ‘থ’ হয়ে গেলেন। আসলেই কী!

কোচ মানেই তো দলের সবচেয়ে ভ্রু কুচকানো, রাশভারী লোকটি- এমনটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক। আর সে কারণে খেলোয়াড়দের চেয়ে কোচ সিনিয়র হবেন, এমনটাই ধরে নেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই এখন আগেভাগেই ঢুকে পড়ছেন কোচিংয়ে। তেমনি অনেক খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারও হচ্ছে দীর্ঘ। ফলে এটি তো হতেও পারে। সবাই যখন শোয়েব মালিক আর মিসবাহর বয়স হিসেব করতে শুরু করলেন তখনই বুঝা গেলো প্রশ্নের মর্ম।

ওই সাংবাদিক আসলে ‘বয়স’ বলতে মিসবাহ-উল-হক আর শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ারের কথাই বলেছেন। মালিকের অভিষেকের পর যে পাকিস্তান দলে সুযোগ পান মিসবাহ! মিসবাহ যখন দলে ডাক পান (২০০২ সালে) তখন তার বয়স ২৮ পার। অন্যদিকে, কাগজে-কলমে ২৭ বছর বয়সেই (১৯৯৯ সালে) দলে ডাক পেয়েছিলেন শোয়েব মালিক। ফলে এদিক থেকে তিনি কোচ মিসবাহর সিনিয়রই বটে। তবে, আক্ষরিক অর্থে বয়স হিসেব করলে শোয়েবের চেয়ে ৩৮ বছর বয়সী শোয়েবের চেয়ে ৮ বছরের বড় মিসবাহ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাল দারুণ খেলেছেন শোয়েব মালিক। তার ৪৫ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও হাসিমুখেই জবাব দিচ্ছিলেন এই বয়সেও দারুণ সাবলীল এই অলরাউন্ডার। হুট করে সেখানে ছন্দপতন ঘটালেন বয়স্ক এক সংবাদকর্মী। যদিও এর উত্তরটাও হাসির মাধ্যমে শেষ হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মাত্র অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে চার দশকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন শোয়েব। আধুনিক ক্রিকেটে শোয়েব ছাড়া এই কৃতিত্ব আর মাত্র দু’জনের। দু’জনই উপমহাদেশের— শচীন টেন্ডুলকার ও সনাথ জয়াসুরিয়া। এর আগে এ কাজ করতে পেরেছেন উইলফ্রেড রোডস, ব্রায়ান ক্লোজ, ফ্র্যাঙ্ক উলি, জ্যাক হবস ও জর্জ গান।

Exit mobile version