Site icon Jamuna Television

চীনের উহান ফেরাদের ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ

চীনের উহান থেকে ফিরে উল্টো ভোগান্তিতে পড়েছেন বাংলাদেশিরা। আশকোনা ক্যাম্পে নানান অব্যবস্থাপনায় সময় পার করছেন তারা নানা। হঠাৎই এমন অব্যবস্থাপনায় পড়ে দিশেহারা কেউ কেউ বলছেন, এরচেয়ে চীনে থাকায় ভালো ছিল তাদের জন্য।

চীন থেকে ফেরা এসব বাংলাদেশি ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আশকোনা হজক্যাম্পে এক রুমে তাদের ৪০/৪৫ জনকে থাকতে হচ্ছে। তাদের শোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে মেঝেতে। মশারির ব্যবস্থা থাকলেও মশার অত্যাচারে ঠিকই ভোগাচ্ছে তাদের।

এছাড়া, টয়লেট নিয়ে কষ্টে আছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের রাখা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসরণ করে। এর আগে, উহান ফেরত এসব বাংলাদেশিদের নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক।

চীনের উহান থেকে ফেরা ছেলের সাথে এক উদ্বিগ্ন বাবার কথোপকথন, পেয়েছে যমুনা নিউজ। যেখানে ছেলে বাবাকে জানাচ্ছেন হঠাৎই চীন থেকে ফিরে এমন কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছেন না।

এসব নিয়ে আতঙ্কে আছেন স্বজনরা। একে তো দেশে ফেরার পরও তাদের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না, তারওপর গাদিগাদি করে থাকার ফলে কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে বাকিরাও ঝুঁকিতে পড়বেন এমন আশঙ্কা তাদের। ভেতর থেকে কয়েকজন টেলিফোনে যমুনা নিউজকে জানান, দেশে তাদের কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি। এমনকি মেডিকেল টিমও কাছে যেতে চায় না। তাদের মধ্যে যারা ডাক্তার আছে তাদের দিয়েই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

যদিও সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, যেহেতু আগতদের কারো ভাইরাস শনাক্ত হয়নি বা লক্ষণ নেই, তাই সংক্রমণের ঝুকি কম।

রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর’র রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তাদেরকে সেভাবেই রাখা হয়েছে। আর হুট করে এত মানুষের থাকার ব্যবস্থাপনা করাটা কঠিন ছিল। পর্যায়ক্রমে তাদের সরিয়ে নেয়া হবে।

হাসপাতালে পাঠানো ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে জানান দায়িত্বশীলরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক বলেছেন, এখন পর্যন্ত কারো মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি। যদি আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায় তবে সেক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তুতি নেয়া আছে।

অবশ্য, আশকোনা ক্যাম্পে থাকা উহান ফেরতদের দেখতে ভেতরে ঢুকতে না পারলেও বাইরে থেকে খাবার ও বিভিন্ন জিনিসপত্র দিতে পারছেন স্বজন ও অভিভাবকরা। শঙ্কার মধ্যে এটাই তাদের একমাত্র স্বস্তির বিষয়।

Exit mobile version