Site icon Jamuna Television

চীন ফেরত নাগরিকদের নির্জন দ্বীপে পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু চীনের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আটকে পড়া নিজ নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যে একটি ফ্লাইট দেশে এসে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্মকর্তারা।

প্রাথমিকভাবে তাদেরকে সিডনি শহরের একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠিত একটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে’ রাখা হয়েছে। সেখান থেকে এসব নাগরিককে দেশটির একটি নির্জন দ্বীপে পাঠানো হচ্ছে।

দেশটি পরিকল্পনা, চীন থেকে ফেরত আসা তাদের ৬০০ নাগরিককে মূল ভূখণ্ডে নেয়ার আগে সতর্কতা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে। যা মূল ভূখণ্ড থেকে দুই হাজার ৭০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

বিবিসি জানিয়েছে, জাপান, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া সরকার।

দেশটির কর্মকর্তারা সোমবার জানান, ইতিমধ্যে ৮৯ জন শিশুসহ ২৪৩ নাগরিককে নিয়ে প্রথম ফ্লাইটটি দেশে এসে পৌঁছেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ফ্লাইটটি এসে পৌঁছবে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন সোমবার রাজধানী ক্যানবেরায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আটকেপড়াদের দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে আমরা দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন নাগরকিদের প্রাধান্য দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশের নাগরিকদের দুই সপ্তাহের জন্য ক্রিসমাস আইল্যান্ডে রাখা হবে।

এ ঘোষণার পর সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ এই দ্বীপটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বন্দিশিবির হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই শিবিরগুলোর বেহাল দশা এবং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে সেখানে চার সদস্যের একটি শ্রীলংকান পরিবার রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক হাজার মানুষকে ধারণ করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নিজেদের ৫৩ জন নাগরিককে ফিরিয়ে আনতে ক্যানবেরার সঙ্গে একযোগে কাজ করছে নিউজিল্যান্ড।

করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের কয়েকটি দেশ চীন থেকে আগতদের ঠেকাতে সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে সাম্প্রতিককালে চীনে সফরে গিয়েছেন, এমন বিদেশিদের তারা নিজ দেশে প্রবেশ করতে দেবে না।

গত ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এর আগে, রাশিয়া, জাপান, পাকিস্তান এবং ইতালিসহ কয়েকটি দেশ একই ধরনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা এ জাতীয় পদক্ষেপ না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

Exit mobile version