Site icon Jamuna Television

ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা মামলা, ধর্ষক চিহ্নিত করতে মাটিচাপা ভ্রুণ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বেশ কয়েটি পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর বাগেরহাটের চিতলমারীর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কুমারী মায়ের মাটি চাপা দেয়া ৫মাসের ভ্রুণ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরী ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যার এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভিকটিমের পিতা। অসুস্থ ওই ছাত্রী চিতলমারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অবৈধ গর্ভপাতের ৫মাসের মাটি চাপা দেয়া ভ্রুণ উদ্ধারকালে বাগেরহাট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফুল আলম, সিভিল সার্জনের পক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান মিলন, থানার পুলিশ পরিদর্শক মীর শরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান কাকা মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই আত্মগোপনে রয়েছে বর্তমানে তাদের বাড়ি তালাবন্ধ রয়েছে।

ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন , প্রায় ছয়-সাত মাস আগে প্রতিবেশী সাধন সরকার ও দীপঙ্কর বিশ্বাস তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ক্রমান্বয়ে ধর্ষণ করে। ভয়ে মেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। সে পাঁচ-ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও তারা তা বুঝতে পারেনি। গত রবিবার সাধন সরকার, দিপঙ্করসহ কয়েকজন তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে গোপালগঞ্জ বেড়াতে যায়। সেখানে জোর করে তার শিশু মেয়ের গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত করায়। সেখান থেকে ফিরে আসলে দেখে মেয়ে অসুস্থ। কারণ জানতে চাইলে মেয়ে মা-বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে।

ছাত্রীর বাবা আরও অভিযোগ করেন, সাধন সরকার ও দীপঙ্কর বিশ্বাস ছাত্রী ও তার পরিবারকে ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটানো প্রায় পাঁচ-ছয় মাস বয়সী গর্ভপাত ঘটানো ভ্রুণ তাদের বাড়ির উঠোনের পাশে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এদিকে, মেয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বুধবার চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ছাত্রীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, যারা আমার মেয়ের জীবনটা যারা সর্বনাশ করেছে তাদের শাস্তি চাই।

সাধন সরকার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের রবীন সরকারের ছেলে ও দীপঙ্কর বিশ্বাস একই গ্রামের বিজয় বিশ্বাসের ছেলে। সাধন সরকার ও দীপঙ্কর বিশ্বাস বিবাহিত। তাদের একটি করে সন্তান রয়েছে। পেশায় তারা দুজনই নির্মাণ শ্রমিক।

চিতলমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের জানান, ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামী আটকের চেষ্টা চলছে।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ মামুন হাসান মিলন জানান, চিকিৎসায় ওই ছাত্রীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম বলেন, ডিএনএ পরীক্ষা ও ময়না তদন্তের জন্য নবজাতকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে অসুস্থ ছাত্রীর চিকিৎসার খোঁজ নেয়া হচ্ছে। প্রকৃত দোষী আইনের যথাযথ শাস্তি পাক-এটা আমরা চাই।

Exit mobile version