Site icon Jamuna Television

শাহ আরফিন টিলায় অবৈধ পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি, টাস্কফোর্সের অভিযান

সিলেট ব্যুরো
অবশেষে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলনে সম্পূর্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করলো স্থানীয় প্রশাসন। ইজারা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বশির এন্ড কোং ২১ জানুয়ারি আদালতকে ভুল বুঝিয়ে পাথর তুলতে অন্তর্বতিকালীন আদেশ পেয়েছিলেন হাইকোর্ট বিভাগ থেকে। রোববার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর সেই আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার জজ। আদেশ হাতে পেয়েই গতকাল (সোমবার) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যের নেতৃত্বে মাঠে নামে টাস্কা ফোর্স।

পুলিশ ও বিজিবিসহ আরেফিন টিলায় গতকাল দুপুর ২.৩০ মিনিট হতে মাইকিং করে শাহ আরফিন টিলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা ৩৬ টি তাবু ধ্বংস করে দেয়া হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য জানান, বশির এন্ড কোং এর পক্ষে মো. আলীর করা রিট এর পূর্ববর্তী আদেশ রাষ্ট্রপক্ষ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার মহামান্য আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। এই আদেশটি স্থগিত হওয়ার পর শাহ আরফিন টিলায় পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, আমরা শ্রমিকদের এবং পাথর উত্তোলন কারীদের বিষয়টি জানাতে শাহ আরফিন টিলা এবং এর আশে পাশের এলাকায় মাইকিং করে প্রচারনা চালিয়েছি। এ টিলা হতে পাথর উত্তোলন করলে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কেউ যাতে কোন ভাবেই পাথর উত্তোলন না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হবে।

উল্লেখ, ১৫ বছর আগে এক বছরের জন্য লিজ নিয়ে পুরো শাহ আরেফিন টিলার ১৩৭ একরের পাহাড় পাথর তুলে ধ্বংস করে ফেলে বশির এন্ড কোং এর স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ আলী। লিজ বাতিল হলেও প্রতিবছর সরকারী কোষাগারে টাকা জমা দিয়ে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে পাথর উত্তোলনের অনুমতি নেন তিনি। গত ৩ বছরেই শাহ আরফিন টিলায় শ্রমিকদের ঝুকিপূর্ন কাজে নিয়োজিত করায় ২৯ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এবারও পাথর তুলতে একই ভাবে আদালতে আবেদন জানালে আদালত অনুমতিও দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে আদালতে তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করে সেই অনুমতি স্থগিতাদেশ পান।

Exit mobile version