Site icon Jamuna Television

কুড়িগ্রামে মহাসড়ক উন্নয়নের কাজে সন্ত্রাসীদের বাধা, চাঁদা দাবি

চাঁদার দাবিতে কুড়িগ্রামে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে সোনাহাট এপ্রোচ ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নের কাজ আটকে দিল সন্ত্রাসীরা। এসময় দুটি ইট ভর্তি ট্রাক আটক করে ঠিকাদারের মালপত্র তছনছ করে ত্রাস সৃষ্টি করে তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোহাগ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় সড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় ৪৪ কোটি ৬২ লক্ষ ৮ হাজার ৮২৪ টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রাম সড়ক বিভাগের অধীনে খুলনার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রা:) লিমিটেড গত ৫ ডিসেম্বর ঠিকাদার হিসেবে কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ঠিকাদার কর্তৃক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সাইটে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার শ্যালক সোহাগ ও তার সঙ্গী ২০ থেকে ২৫জন যুবক মোটর সাইকেলযোগে সোনাহাট ব্রীজের কাছে সাইটে পৌঁছে। সেখানে তারা ফিল্মি স্টাইলে কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে তাদের সাথে দেখা করতে বলে। না হলে কাজ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি-ধামকি দেন। এসময় তারা কর্মরত শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ মালামাল তছনছ করে।

এ ব্যাপারে মোজাহার এন্টারপ্রাইজের সাইট ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, তারা সাইটে এসে প্রথমে সকল কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা মালামাল তছনছ করে ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারকে সোহাগের সাথে দেখা করে তারপর কাজ শুরু করার কথা জানায়।

এ বিষয়ে মোজাহার এন্টারপ্রাইজের পার্টনার রফিকুল হায়দায় জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ চাঁদার দাবিতে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়। আমাদের দুটো ইট ভর্তি ট্রাক সাইটে পৌঁছলেও সেগুলো আবার সাইট থেকে মালামালসহ বের করে দেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে সোহাগ জানান, আমি ওখানে যাইনি। কে বা কারা আমার নাম ভাঙিয়েছে তা আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, আমরা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

Exit mobile version