Site icon Jamuna Television

প্রথমে বেচলেন নিজের কিডনি, পরে আরও ১৬ জনের!

নেত্রকোণা প্রতিনিধি:

টাকার প্রয়োজন মেটাতে নিজের কিডনি বিক্রি করেছিলেন নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার নাজিম উদ্দিন (৩৮)। এরপর এলাকার অভাবতাড়িত মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করিয়ে সে শুরু করে কিডনি বাণিজ্য! গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে জেলা সদরের বাগড়া বাজার এলাকার নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়ক থেকে পুলিশ অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাজিম উদ্দিন পূর্বধলা উপজেলার শানখলা গ্রামের মৃত উমেদ আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিডনি বিক্রিতে সম্মতি দেয়া ব্যক্তির একটি পাসপোর্টসহ নাজিমকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, দিশেহারা ঋণগ্রস্ত মানুষদের কাছে ‘শেষ আশ্রয়স্থল’ হিসেবে নাজিমের ব্যাপক খ্যাতি (!) রয়েছে। গত কয়েক বছরে কমপক্ষে ১৬ অভাবতাড়িত বাংলাদেশিকে ভারতে নিয়ে কিডনি বিক্রি করিয়েছেন। আর কিডনি বিক্রি করা টাকায় মোটা অংকের ভাগ বসিয়েছেন। এদের মধ্যে আছে তার স্ত্রী এবং বোনও!

এছাড়াও নাজিমের মাধ্যেম কিডনি বিক্রি করাদের মধ্যে আছেন শানখশা গ্রামের সুজন মিয়ার স্ত্রী মেহেরা খাতুন (৫৫) ও ছেলে নূর আলম, একই গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে এয়ারখান, কুদরত আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম, আসন আলীর ছেলে আলাল উদ্দিন, উমর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ,আবুল কাশেমের স্ত্রী রুমা আক্তার; হবিবপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন, একই গ্রামের তোতা ফকিরের ছেলে রমজান আলী ও মহেন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে খোকন মিয়া। বর্তমানে কিডনি বিক্রি করতে ভারতে আছেন শানখলা গ্রামের সবুজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা খাতুন।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নূর এ আলম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে।

পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, নাজিম আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সদস্য। তাকে আটক করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। খুব দ্রুত চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Exit mobile version