Site icon Jamuna Television

নাঈমের ঘূর্ণিতে সমানে সমান বাংলাদেশ

ক্রিকেটের প্রাচীন প্রবাদ- ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। মিরপুর টেস্টে এক নাঈম হাসানের বলেই তিনটি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। তবে, শেষ বিকেলে সেঞ্চুরিয়ান ক্রেগ আরভিনকে (১০৭ রান) তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগামটা হাতেই রেখেছে টাইগাররা।

শনিবার শুরু থেকেই পেসাররা ছন্দে থাকলেও শুরুতেই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে বেশ দেখেশুনেই খেলেছে। ১ উইকেটে ৮০ রান নিয়েই লাঞ্চে যায় তারা। সেখান থেকে যে ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ তার কৃতিত্ব নাঈম হাসানের। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের সবুজাভ উইকেটে বাঁক পেয়েছেন এ অফ স্পিনার। ৬৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। আর ৫১ রানে ২ উইকেট আবু জায়েদ রাহীর। এতে ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে।

উইকেটে থাকা হালকা ঘাসের সুবিধাটা সকাল সকালই তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন ইবাতদ হোসেন-আবু জায়েদ। প্রথম সেশনে উইকেট বেশি না পড়লেও জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে রেখেছিলেন দুই পেসার। নিয়ন্ত্রিত লাইন-লেংথে বল করেন দুজন। প্রথম সেশনে ১ উইকেটে ৮০ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন নাঈম। তার বলে তিনটি ক্যাচ দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার প্রিন্স মাসভোরে। নাঈম নিজেও তাঁর একটি ক্যাচ ফসকেছেন। শেষ পর্যন্ত এই নাঈমই ৬৪ রান করা মাসভোরেকে ফিরিয়েছেন। পরের ওভারেই তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে স্টাম্পে বল টেনে এনেছেন ব্রেন্ডন টেলর (১০)।

দ্বিতীয় উইকেটে মাসভোরের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়া আরভিন খেলেছেন সাহসী ক্রিকেট। টেস্টে এতটা ঝুঁকি নেওয়া প্রশ্ন তোলার মতো। বারবার রিভার্স সুইপ করার চেষ্টা বাংলাদেশের স্পিনারদের জেঁকে বসতে দেয়নি। ২২৭ বলে ১০৭ রান করা আরভিন নাঈমের শিকার হন দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগের ওভারে। ভেতরে ঢোকানো বলে এ বাঁহাতিকে বোল্ড করেন নাঈম।

৩৬ ওভার বল করে মাত্র ১.৮৮ গড়ে ৬৮ রান দিয়েছেন নাঈম। নিয়েছেন ৪ উইকেট। এতেই প্রমাণ হয় কতোটা ভালো বল করেছেন তিনি। অন্যদিকে, ২১ ওভার বল করে ৭৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তাইজুল ইসলাম। ১৭ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রান দিয়ে তুমুল কৃপণতা দেখিয়েছেন পেসার ইবাদত। মেডেন নিয়েছেন ৮ ওভার। তিনি উইকেটের দেখা না পেলেও অপর পেসার আবু জায়েদ রাহী পেয়েছেন ২ উইকেট। ১৬ ওভারে ৫১ রান দিয়েছেন তিনি।

Exit mobile version