Site icon Jamuna Television

দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রুতই বাড়ছে করোনার বিস্তার

চীনের বাইরে হঠাৎই বিস্তার ঘটছে করোনাভাইরাসের। দক্ষিণ কোরিয়ায় শনিবারই নতুন করে ২২৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দেগু শহরে। রাজধানী সিউল আর সবচেয়ে বড় শহর বুসানেও নিশ্চিত হয়েছে ভাইরাসটির উপস্থিতি। বিস্তার রোধে সেনাঘাঁটি অবরুদ্ধ রাখাসহ নেয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৩৩ জন।

চীনা ভূখণ্ডের বাইরে এ সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। ইরান আর ইতালিতে প্রাণ গেছে ৭ জনের। অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে ইতালির ১০টি শহর।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস-মিনিস্টার কিম কাং লিপ বলেন, “হঠাৎ করেই কোভিড-19’র সংক্রমণ বেড়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের হলেও সংক্রমণ অল্প কিছু এলাকার মধ্যে সীমিত থাকায় মহামারী প্রতিরোধ সম্ভব বলে মনে করছি। বিভিন্ন হাসপাতাল আর গির্জার মতো জনবহুল জায়গা থেকে সংক্রমণ বেশি হয়েছে।”

চীনের প্রতিবেশি দেশগুলোর পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, মধ্যপ্রাচ্য আর ইউরোপেও। শুক্রবার ইরানে নতুন করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়, ইতালিতে মারা গেছে দু’জ।

হঠাৎ এমন বিস্তারে, উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের উদ্বেগ, করোনা ঠেকানোর সুযোগ কমে আসছে দ্রুত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, “হুবেইতে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বিস্তার বাড়ছে চীনের বাইরে। চীনে যাননি বা আক্রান্ত কারো সংস্পর্শেও আসেননি, এমন অনেকের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগের। মহামারী কোন পর্যায়ে তা বলা মুশকিল। যেকোনো সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছি। কারণ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর সুযোগ ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে।”

নতুন নতুন জায়গায় ভাইরাস-আতঙ্কের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। অনেক দেশ ও বিমান সংস্থা চীনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় গেল ক’দিনে প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার রাজস্ব কমেছে বিমান খাতের। চীনে গাড়ির বিক্রি কমে গেছে ৯২ শতাংশ।

Exit mobile version