
বরগুনার তালতলীতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ পাচার হচ্ছে নিয়মিত। অভিযোগ উঠেছে, রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকায় বিট কর্মকর্তা। টাকার বিনিময়ে গাছ কাটতে দিচ্ছেন সংঘবদ্ধ চক্রকে। বন উজাড় হলেও খুব একটা মাথাব্যাথা নেই বন বিভাগের।
মাস তিনেক আগে বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া সংরক্ষিত বন থেকে সুন্দরী গাছ পাচারের সময় ট্রলারসহ কয়েকজনকে আটক করেন বিট কর্মকর্তা।
এই বিট কর্মকর্তাই পরে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার সাথে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
ফোনালাপে গোলাম মোস্তফাকে বলতে শোনা যায়… মামলা হালকা করে দেবো… ৩০ হাজার টাকা পাইছি।
অভিযুক্ত কর্মকর্তার দাবি, ফোনালাপের ওই কণ্ঠ তার নয়। কয়েকজনকে আটকের কথাও বেমালুম অস্বীকার করে যান তিনি। ওদিকে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলছেন, আটকৃতদের ছিনিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, বিট কর্মকর্তার যোগসাজশেই উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনের গাছ। গাছ চুরির বিষয়টি স্বীকারও করেন তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা।
গাছ পাচারের সাথে বন বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply