বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জাপানের চিতেসতু ওয়াতানাবে মারা গেছেন। গত রোববার তারই নার্সিং হোমে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। এসময় তার বয়স হয়েছিল ১১২ বছর।
১৯০৭ সালের ৫ মার্চ জাপানের রাজধানী টোকিওর উত্তরে অবস্থিত নিগাতা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন ওয়াতানাবে। সিএনএন জানিয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ কর্তৃপক্ষের নিগাতা এলাকা থেকে তিনি তাইওয়ানের একটি আখ খামারে কাজ করেন। এরপর তিনি আবার জাপানে ফিরে যান এবং নিগাতায় কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন।
ওয়াতানাবে পাঁচ সন্তান রেখে গেছেন। এতদিন বেঁচে থাকার রহস্য নিয়ে সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, দীর্ঘজীবী হওয়ার গোপন সূত্র হলো রাগান্বিত হওয়া যাবে না এবং সবসময় হাসিমুখে থাকতে হবে। অনেকে মিষ্টান্ন পরিহার করার কথা বললেও কাস্টার্ড পুডিং আর আইসক্রিমের মতো মিষ্টান্নের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল ওয়াতানাবের।
তবে, সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক লোকের স্বীকৃতি পাওয়ার আগেই মারা গেলেন ওয়াতানাবে। এই রেকর্ডটি তারই স্বদেশি জিরোমোন কিমুরার দখলে। গিনেজ রেকর্ড অনুসারে, ১৯৮৭ সালের ১৯ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করা কিমুরা ২০১৩ সালের জুন মাসে ১১৬ বছর ৫৩ দিন বয়সে মারা যান।
উল্লেখ্য, জাপানের মানুষের গড় আয়ু গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির অনেক মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে জানা গেছে, জাপানে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি শতবর্ষী মানুষ বেঁচে আছেন।

