Site icon Jamuna Television

মা-বাবার সখ পূরণে হেলিকপ্টার-পালকীতে চড়ে বিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার:

বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। তারপরও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন বর। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে হেলিকপ্টার পযন্ত তিনি আসেন বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে পালকীতে চেপে। একই ভাবে হেলিকপ্টার থেকে নেমেও তিনি পালকীতে চেপেই কনের বাড়ি যান। কনের বাড়ির এলাকায় হেলিকপ্টারে পৌঁছতে বরের সময় লেগেছে মাত্র ৪ মিনিট।

মা-বাবার সখ পূরণ করতে এভাবে বিয়ে করে এলাকায় বেশ হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রহমান।

বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাহিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে বর এবং কনের বাড়িতে ছিলো উৎসুক জনতার ভিড়।

বর ফজলুর রহমান বাহিরচর গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারে টেক্সটাইল কেমিক্যালের ব্যবসা করেন। কনে ফারিয়া জান্নাত মৌ একই উপজেলার হাসমিলান গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার মেয়ে।

দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে হরিরামপুর পাঠগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়েন বর ফজলুর রহমান। এসময় সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই বজলুর রহমান, বোন ও ভাগ্নি। বেলা ১ টা ৩৪ মিনিটে কনের বাড়ির এলাকা দিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পৌছেন।সেখান থেকে কনের বাড়ি যান পালকিতে চড়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূ নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফেরেন ফজলুর রহমান।

ফজলুর রহমানের বড় ভাই বজলুর রহমান জানান, তার বাবা আব্দুর রশিদের সখ ছিলো ছোট ছেলেকে পালকিতে চড়িয়ে বিয়ে করাবেন। আর মা আনোয়ারা বেগমের সখ ছিলো হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করবেন ছেলে। মা-বাবার এই সখ পুরণের জন্যই এই আয়োজন করা হয়।

তিনি জানান, হেলিকপ্টার ভাড়া দেয়া হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। পালকী ১৫ হাজার টাকা এবং বাদ্যযন্ত্র ভাড়া করা হয় ৫ হাজার টাকা দিয়ে।

নববধূ ফারিয়া জান্নাত মৌ জানান, হেলিকপ্টার এবং পালকিতে চড়ে তিনি শ্বশুড় বাড়ি যাবেন এটা কল্পনাও করেননি কখনো। এমন ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন দেখে তার আত্মীয়-স্বজন এবং গ্রামবাসী খুবই খুশি।

Exit mobile version