Site icon Jamuna Television

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে পাথর

কিডনিতে পাথরের সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। তাই শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেয়া প্রয়োজন। কিডনি ভালো রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। তাই কিডনি যদি নষ্ট হয়ে যায়, তবে বেঁচে থাকা অনিশ্চিত হয়ে যায়।

কিডনির অনেক রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তবে কিডনির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে– কিডনিতে পাথর। কিডনিতে পাথর হ্ওয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।

তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে। কিডনির পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনো ব্যথাবেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।

কিডনিতে পাথর জমার কারণ

কিডনিতে পাথর জমার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়।

১. শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।

২. বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া।

৩. অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া।
৪. শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।

যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনিতে পাথর-

১. রক্তবর্ণের প্রসাব।
২. বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
৩. কোমরের পেছন দিকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিৎসা

কিডনির অবস্থানে ব্যথা, রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিৎসকরা দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হলো কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রা সনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।

সতর্কতা

১. কিডনি স্টোনের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
২. কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।
৩. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার খান।
৪. দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।
৫. বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: জিনিউজ

Exit mobile version