Site icon Jamuna Television

যে কারণে শাবনূরের ডিভোর্স

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভালোবেসে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অনীক মাহমুদকে। পরের বছরই এই দম্পতির ঘর আলোকিত করে আসে ছেলেসন্তান। দীর্ঘ ৮ বছরের সংসারে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভাঙনের সুর।

জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনীককে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নিজের সই করা নোটিশটি আইনজীবীর মাধ্যমে অনীক মাহমুদের কাছে পাঠান তিনি। কিন্তু কেনো ভাঙছে শাবনূরের সংসার?

শাবনূর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সন্তান জন্মের পর থেকেই আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, মতের অমিল হতে থাকে। একসময় আমরা আলাদা থাকা শুরু করি। যদি উপলব্ধিতে পরিবর্তন আসে কিন্তু তা আর হলো না। অনেক চেষ্টার পরও যেহেতু বনিবনা হচ্ছিল না। তাই ভাবলাম, এভাবে থাকার চেয়ে আলাদা থাকাটাই ভালো। আইনজীবীর মাধ্যমে ২৬ জানুয়ারি তালাক নোটিশ অনীকের বাসায় পাঠানো হয়।

কিছুটা হতাশা নিয়েই শাবনূর জানান, ভালো থাকার আশায় সংসারজীবন শুরু করেছিলাম। আমার হয়তো সংসারজীবনের ভালোবাসা ভাগ্যে লেখা ছিল না। তাই বিচ্ছেদ করতে হয়েছে। দু’জনেরই পরিবার, সমাজ আছে, সেখানে নিজেদের মতো করে থাকাই ভালো।

কিন্তু কী এমন সমস্যা যার সমাধান নেই? শাবনূর জানান, সন্তান জন্মের পর অনীক পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করতো না। অনেকবার বলার পরও তার আচরণগত পরিবর্তন আসেনি, এভাবে থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভালো।

২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এক ছেলেসন্তানের মা হন শাবনূর। তার নাম আইজান নিহান। ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন শাবনূর। এর আগে বিচ্ছেদের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শাবনূরের স্বামী অনীক। কিন্তু, এ ভাঙন যেন অনিবার্য।

Exit mobile version