Site icon Jamuna Television

সাতক্ষীরায় অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র

সাতক্ষীরা শহরের কয়েকটি ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রকোপ আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাইরে আসতেই অপরিচিত ব্যক্তির ডাকে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অনেকেই। শহর জুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও এই অভিনব প্রতারণার কাছে হার মানছে সিসি টিভির ফুটেজও। ফলে বাড়ছে প্রতারক চক্রের সাহসী মনোভাব পাশাপাশি সাধারণ জনগণ হারাচ্ছে মানুষের প্রতি আস্থা।

সম্প্রতি জেলা সদর সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই প্রতারক চক্র মরিয়া হয়ে উঠলেও এ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে চোখে পড়ার মত তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ওই প্রতারক চক্রের শিকার হয়ে আড়াই লক্ষ টাকা খুইয়েছেন সদর উপজেলার দহাকুলা এলাকার তমীজউদ্দিন সরদারের ছেলে (মেসার্স হিজবুল্লা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী) হাফেজ মো. শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাফেজ শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা শহরের ইসলামী ব্যাংক থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাব থেকে ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাংক থেকে বাইরে বের হয়ে শহিদুল তার পরিচিত ব্যক্তির কাছে সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা একটি ব্যাগে করে তার নিজের মোটরসাইকেলের হাতলে ঝুলিয়ে রাখেন।

এর পর শহিদুল পাঞ্জাবির পকেট থেকে মোটরসাইকেলের চাবি বের করার সময়ে পেছন থেকে অপরিচিত এক ব্যক্তি বলে আপনার পকেট থেকে টাকা পড়ে গেছে। একবার পেছন ফিরে আবার মোটরসাইকেলের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেখানে তার টাকার ব্যাগটি নেই।

মুহুর্তেই আবার পিছনে তাকিয়ে দেখেন সেই অপরিচিত লোকটিও সেখানে নেই। এ ঘটনায় হাফেজ শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আমরা এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। দ্রুত এসব ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করা হবে।

উল্লেখ্য গত বছরের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস থেকে শহরের রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ার রোজিনা খাতুনের নিকট থেকে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র টাকা ভাঙানোর কথা বলে চেতনা নাশক কীট ব্যবহার করে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও শহরের ও উপজেলার কয়েকটি স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

Exit mobile version