Site icon Jamuna Television

নেইমার চমকে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

করোনাভাইরাস আতঙ্কে মাঠ ছিল দর্শকশূন্য। সেই ফাঁকা মাঠেই দাপট দেখাল পিএসজি। গোল করলেন তারকা ফুটবলার নেইমার। জালের দেখা পেলেন হুয়ান বার্নেতেও। তাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারাল পিএসজি। দুর্দান্ত এ জয়ে ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তারা।

প্রথম লেগে জার্মানিতে গিয়ে ডর্টমুন্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে আসে পিএসজি। দ্বিতীয় লেগে ফ্রান্সে সেই প্রতিশোধ নিলেন তারা। ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সিসে শুরু থেকেই আধিপত্য বজায় রাখেন পারিসিয়ানরা। আক্রমণের পসরা সাজান তারা। যদিও গোল পেতে একটু সময় লাগে। ২৮ মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নারে ডাইভিং হেডে নেইমারের গোলে লিড নেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

এগিয়ে গিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে পিএসজি। মুহুর্মুহু আক্রমণে ডর্টমুন্ডকে ব্যতিব্যস্ত রাখেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় সাফল্য পেয়ে যান স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারা। এবার সেই ডি মারিয়ার বাড়ানো বল ধরে কোনাকোনি শট নেন পাবলো সারাবিয়া। শেষ মুহূর্তে হুয়ান বেরনাতের আলতো টোকায় তা দিক পরিবর্তন করে লক্ষ্যে পৌঁছে।

এতে ২-০ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় পিএসজি। স্বভাবতই দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফিরতে মরিয়া ছিল ডর্টমুন্ড। তবে তা আশার আলো দেখেনি। উপরন্তু ৮৯ মিনিটে কান লালকার্ড দেখলে তাদের ম্যাচে ফেরার পথ আরও বন্ধুর হয়ে যায়। এ সময় আক্রমণে ওঠা নেইমারকে পেছন থেকে ফাউল করেন তিনি। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি জার্মান মিডফিল্ডার। ব্রাজিলীয় তারকার সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি।

একপর্যায়ে নেইমারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন কান। পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষের খেলোয়াড়রাও জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে। একাণ্ডে নেইমার, মার্কিনিয়োস ও ডি মারিয়াকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৭৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। গ্যালারিতে বসেই এ কার্ড দেখেন তিনি।

তথ্যসূত্র: ইএসপিএন এফসি/গোল ডটকম।

Exit mobile version