Site icon Jamuna Television

আখাউড়া স্থলবন্দরে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আকুতি-মিনতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে কয়েক শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা এসব যাত্রীরা আকুতি-মিনতি করেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর (বি.এস.এফ)’র মন গলাতে পারছেন না।

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আখাউড়া স্থল বন্দরের কয়েক শতাধিক ভারত গমনকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীর জটলা দেখা গিয়েছে। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই মেডিকেল ভিসাধারী। বি.এস.এফের বাধায় তারা ভারতে প্রবেশ না করতে পেরে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন।

সিলেট থেকে আসা মিনতি রানী নামের এক নারী জানান, আমার স্বামী ও সন্তান দু’জনই অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য আগরতলা হয়ে বিমানে বেঙ্গলোর যাবো। টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। অনেক আকুতি মিনতি করলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী (বি.এস.এফ) আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। তিনি আরও জানান মানবিক দিক চিন্তা করে হলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যেন অন্তত মেডিকেল ভিসাধারীদের ছাড় দেয়। তাহলে দুটি জীবন বাঁচবে।

নরসিদী সদর উপজেলার সজীব নামের এক যুবক জানায়, আমার সন্তানের অবস্থা খুবই খারাপ। তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারত যাচ্ছি। কিন্তু তারা ছাড় দিচ্ছে না। স্থল বন্দরে এমন আরও অনেক যাত্রী প্রবেশ না করতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল হামিদ জানান এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন দু’দেশের প্রায় ৮ থেকে ৯শ যাত্রী আসা যাওয়া করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আকষ্মিক ভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয়। এতে চিকিৎসা, ভ্রমনকারীসহ বিভিন্ন জরুরী কাজে গমনেচ্ছু যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে গেলেও বন্দরে আমাদানি রফতানী বানিজ্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকলে এক মাসে ৭৫ থেকে ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কোনো যাত্রীকে ঢুকতে দিচ্ছে না ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বি.এস.এফ)।

Exit mobile version