Site icon Jamuna Television

ইঁদুরের কোষেই কি ঢাকবে টাক?

মাথার টাক, আজই ঢেকে যাক- এমন নানা ধরনের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রতিনিয়ত নানান জায়গা দেখা যায়। টাকের দুশ্চিন্তায় অনেকেরই নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে যায়।

শুধু চটকদার বিজ্ঞাপন দেওয়া নাম স্ববর্স্ব কোম্পানি নয়; খোদ বড় বড় গবেষণাগারে এ নিয়ে গবেণষা চলছে, দিন রাত পরিশ্রম করছেন বাঘা বাঘা সব বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি, এ চেষ্টায় একধাপ অগ্রগতি হয়েছে জানা গেছে।

ইদুরের স্টেম কোষ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক চুলের মতই, চুল গজানো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চামড়ার খণ্ড বা টিস্যু আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ চামড়ার খণ্ড বা টিস্যু প্রতিস্থাপন করেই টাক মাথার চিকিৎসা করা হবে। এর আগে কোন গবেষণায় এমন নিঁখুত কৃত্তিম চুল আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞানীরা খুবই আশাবাদী। ইদুরের স্টেম কোষ ব্যবহার করে মাথার ত্বকের উপর ও নিচ উভয় স্তরেরই জৈবিক বৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব হবে বলে দাবি করছেন তারা। পরীক্ষামূলকভাবে এই স্টেম কোষ থেরাপি টাক চিকিৎসায় ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হওয়ার ব্যাপারেও তারা আশাবাদী।

স্টেম সেল থেরাপিকে অনেকদিন ধরেই টাক চিকিৎসার ভবিষ্যত বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে। ত্বকের টিস্যু তৈরির অনেক গবেষণা হলেও, সত্যিকারের টিস্যু তৈরিতে বেশিরভাগই গবেষণাই ব্যর্থ হয়েছে। কারণ জৈবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং তা চিকিৎসায় ব্যবহার উপযোগী হবে, এমন টিস্যু তৈরি করা খুবই কঠিন।

সেই খুব কঠিন কাজটিই বাস্তব রূপ দেবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞানী কার্ল কোয়েহলার। ছোট্ট ছোট্ট জৈবিক গ্রন্থি তৈরির বর্তমান প্রকল্প নিয়ে তিনি আশাবাদী; তিনি গ্রন্থিগুলোর নাম দিয়েছেন ‘অর্গানয়েডস’।

এই সব গ্রন্থি তৈরিতে ব্যবহৃত হবে ‘প্লুরিপোটেন্ট স্টেম কোষ’। প্লুরিপোটেন্ট স্টেম কোষ হল এক ধরনের প্রাথমিক কোষ, যা বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন রকম গ্রন্থিতে পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ায়, বিজ্ঞানীরা অবশ্য প্রথমে কানের ভেতরের ক্ষুদ্র গ্রন্থি তৈরির চেষ্টা করবেন; যা কানে খাটো মানুষদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে।

যমুনা অনলাইন: এনপি/এফএইচ

Exit mobile version