Site icon Jamuna Television

নেত্রকোনায় বিদেশ ফেরত ৯১৫ জন, কোয়ারেন্টাইনে ৫৯ জন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনায় বিদেশ ফেরত ৫৯ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে নেত্রকোনায় মোট বিদেশ ফেরত রয়েছে ৯১৫ জন।

বিদেশ ফেরত ব্যক্তিরা ইতালি, চীন, ওমান, দুবাই, সিঙ্গাপুর, জর্দান, মালয়েশিয়া,স্পেন, অস্টেলিয়া সৌদিআরব, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত এসেছেন।

এদিকে বিদেশ ফেরত মোহনগঞ্জের এক নারী জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে মাত্র ঊনষাট জন ছাড়া এখনো বিদেশ ফেরতদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি প্রশাসন।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিশেষ শাখায় ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে প্রেরিত এক তালিকায় জানানো হয়েছে গত ১ মার্চ থেকে গত বুধবার পযন্ত বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১০ জনের বাড়ি নেত্রকোনায়।

তাদের মধ্যে আটপাড়ায় ৬২ জন, সদর উপজেলায় ২১৪ জন, বারহাট্টায় ৩৪ জন, মদন ৪৮ জন, খালিয়াজুরি ২৫ জন, মোহনগঞ্জে ৭৩ জন, পূর্বধলায় ৭৫ জন, কলমাকন্দায় ২৪ জন, দুর্গাপুরে ৭৭ জন রয়েছেন। তাদের ব্যাপারে জেলা পুলিশ খোঁজ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘গত ১ মার্চ থেকে গত বুধবার পযন্ত বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে নেত্রকোণার ৮০৭ জন রয়েছেন। তাদের তালিকা জেলার ১০টি থানায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে টিম গঠন করে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করে এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলামের দাবি, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী সর্দি-জ্বর থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।

তিনি জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে কোন করোনাভাইরাসের লক্ষণ নেই। এখন পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। তারপরও সতর্কতা হিসেবে তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির লোকজন সার্বক্ষণিক বিদেশ ফেরত ও তাদের পরিবারের লোকজনের ওপর নজরদারি রাখছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সচেতনতা বিষয়ক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

আতংকিত না হয়ে সচেতন হতে মাইকিং করা হচ্ছে । বিদেশ ফেরত লোকজনের পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে মুক্তভাবে চলাফেরা না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ এই নিষেধ না মানেন তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেল-জরিমানা করা হবে।

Exit mobile version