Site icon Jamuna Television

করোনা মোকাবেলায় নির্ভীক চিকিৎসকরা

করোনাভাইরাস আতঙ্কে যখন পুরো বিশ্ব, সেসময় নির্ভীক ভূমিকা রাখছেন চিকিৎসাকর্মীরা। দেশে-দেশে প্রাণঘাতী মহামারি রুখতে ২৪ ঘণ্টাই লড়াই করছেন তারা। পরিবারের কাছ থেকে রীতিমতো শেষ বিদায় নিয়েই মানুষগুলোর দিন কাটছে হাসপাতালে। এরইমধ্যে চীনে জাতীয় বীর ঘোষণা করা হয়েছে চিকিৎসাকর্মীদের।

ইতালির একটি হাসপাতালের বিশেষ বিভাগের করোনা আক্রান্ত মুমুর্ষ রোগীদের চিকিৎসা চলছে। গেল ৭ দিন ধরে সেখানকার একটি কক্ষেই কাজ করছেন ৩ চিকিৎসক।

ইতালীয় চিকিৎসক লকা লরিনি বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৮০ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। এরমধ্যে ১৪ জন সিসিইউতে। সেখানে কাজ করছেন ৩ চিকিৎসাকর্মী। গেল কয়েকদিন ধরে তারা সেখানেই আছেন, বের হবার সুযোগ নেই।

ছোয়াচে হওয়ার কারণে, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সেবা দেয়া চিকিৎসা কর্মীরা নিজেরাও আছেন অবরুদ্ধ অবস্থায়। নির্দিষ্ট কক্ষ কিংবা বিভাগের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। স্বজনদের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়েই ঢুকছেন হাসপাতালে।

ইতালির ব্রাসিয়াস সিভিলিয়ান হসপিটালের নার্স বিভাগের সম্বনয়কারী ফ্যাবিও অ্যারিঘিনি বলেন, ১৮ ঘন্টা শিফটে কাজ করছি আমরা। বাকিটা সময় হাসপাতালেই বিশ্রাম নিচ্ছি। তারপর আবার কাজ। কখনও কখনও ৩ ঘন্টাও বিশ্রাম নিতে পারি না।

ইউরোপের দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায়, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলোতে নেই তিল ধারণের জায়গা, তাই খুলতে হচ্ছে নতুন নতুন হাসপাতাল। সেগুলোর দায়িত্বেও এই চিকিৎসাকর্মীরাই। আর তাই রীতিমত সুপার হিরো আখ্যা দেয়া হচ্ছে তাদর।

ব্রাসিয়াস হসপিটালের প্রধান সার্জিও কাতানিও বলেন, মাত্র ছয়দিনে এখানে সিসিইউও রয়েছে যার সবগুলো বেডেই এখন রোগী। বাইরে হাসপাতালের বর্ধিতাংশ তৈরী করা হয়েছে। সেখানে থাকছেন প্রাথমিকভাবে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, রোগীর সেবা দিতে গিয়ে, এই ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ইতালির ২ হাজার ৭ শ চিকিৎসা কর্মীর।

সময়ের সাথে সাথেই চীনে কমে আসছে আক্রান্তের সংখ্যা, যার মূলে চিকিৎসকরা। এরইমধ্যে জাতীয় বীর ঘোষণা করা হয়েছে তাদের। করোনার সাথে লড়াইয়ে যাদের প্রাণ গেছে, সেই চিকিৎসাকর্মীদের সম্মান জানাতে বেইজিংসহ বিভিন্ন শহরে প্রতর্দিশ হচ্ছে বিলবোর্ড।

Exit mobile version