Site icon Jamuna Television

করোনা প্রতিরোধে মাঠে ইতালির ফুটবল সংশ্লিষ্টরা, বানাচ্ছেন হাসপাতাল

রক্ষানাত্মক ফুটবলের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ইতালির। করোনাঘাতে বিপর্যস্ত সেই ইতালি এই মুহূর্তে পরিণত হয়েছে দিশেহারা এক জাতিতে। করোনার আক্রমণ ঠেকাতে টিকছে না কোন কৌশলই। বলা হচ্ছে প্রতিদিনই ছোট হয়ে আসছে একটি প্রজন্ম।

দুযোর্গের এসময়ে বসে নেই বিশ্বের নামী দামি ইতালিয়ান সব ফুটবল ক্লাব, খেলোয়াড় আর কর্মকতারা। কেউ দিচ্ছেন নগদ অর্থ, কেউ দিচ্ছেন চিকিৎসা সরমঞ্জাম আবার কেউ বা নিয়ে দিচ্ছেন বিশাল হাসপাতাল। লড়ছেন তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। লক্ষ্য একটাই, বিপর্যয় ঠেকিয়ে দ্রুত করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাওয়া।

ইতালিতে প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এরই মধ্যে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৪ হাজার। একদিনে এ সংখ্যা রেকর্ড ৬২৭ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকেছে ৪৭ হাজারে।

শহরের গীর্জাগুলোতে আট হাজার প্রোটেকটিভ গ্লাভস ও দুই হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছে এফসি রোমা। জনস্বাস্থ্য বিভাগকে তিন লক্ষ ফেস মাস্ক দিয়েছে ইন্টার মিলান।

ইন্টারের খেলোয়াড় ও স্টাফরা দান করেছে ৫ লক্ষ ইউরো। রোমা, এসি মিলান, য়্যুভেন্তুাস ও ফিওরেন্তিনার ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেইন থেকে এসেছে চার লক্ষ ২০ হাজার ইউরোর বেশি।

নিজে লাখ ইউরো অনুদান দিয়ে সুইডিশ স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ শুরু করেছেন ‘কিক দা ভাইরাস অ্যাওয়ে’ নামের ক্যাম্পেইন; এরই মধ্যে তার এই তহবিলে জমা হয়েছে আড়াই লাখ ইউরো।

করোনা পরীক্ষার কিট কিনতে রোমের একটি হাসপাতালে ১৫টি মেশিন দান করেছেন সাবেক ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড ও রোমা কিংবদন্তি ফ্রান্সেসকো তেত্তি।

এগিয়ে এসেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও এসি মিলান প্রেসিডেন্ট সিলভিও বেরলুস্কোনি। ৪০০ বেড়ের একটি আইসিইউ বানাতে ১০০ কোটি ইউরো খরচের ঘোষণা দিয়েছেন।

য়্যুভেন্টাসের মালিকানায় থাকা এঞ্জেলি পরিবার ইতালির হাসপাতাল গুলোর জন্য কিনছেন ১৫০টি কৃত্রিম শ্বাস নেওয়ার যন্ত্র।

এসবের বাইরে করোনা মহামারী ঠেকাতে এগিয়ে এসেছেন আরও অনেক ফুটবলার।

Exit mobile version