Site icon Jamuna Television

রাঙামাটিতে বিদেশ ফেরতদের খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

রাঙামাটি প্রতিনিধি:
রাঙামাটি জেলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হতে ১লা মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ২৬৭ জন ফিরলেও হোম কোয়ান্টাইনে রয়েছেন মাত্র ৪৫ জন। বাকিরা কোথায় এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে।

তবে পুলিশ বলছে, ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া তালিকা ধরে তারা অনেককে খুঁজে পেলেও অনেকের ঠিকানা না থাকায় খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে পুলিশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রাঙামাটিতে ১লা মার্চ থেকে আজ ২১ মার্চ পর্যন্ত ২৬৭ জন প্রবাসী ফেরত এসেছেন। এদের কারো কারো পুর্নাঙ্গ ঠিকানা থাকলেও কারো কারো অসম্পুর্ণ ঠিকানা বা শুধু উপজেলা লেখা হয়েছে। তাই বিদেশ ফেরতদের খুঁজতে কষ্ট হচ্ছে।

রাঙামাটিতে বিদেশ ফেরত ২৬৭ জনের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৬৮ জন, কাউখালী উপজেলায় ৭ জন, নানিয়াচর উপজেলায় ১৬ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ২৭ জন, লংগদু উপজেলায় ৩ জন, বরকল উপজেলায় ৫ জন এবং বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৬ জনসহ মোট ১৩২ জনের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ থেকে এসব প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলছেন, আবার কেউ মানছে না। যারা মানছে না তাদের প্রশাসন জরিমানা করছে।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ জানান, বিদেশ ফেরতদের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। আমরা সেই তালিকা নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমরা বিদেশ ফেরত সকলকে সাবধান করে দিচ্ছি যাতে তারা কমপক্ষে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলেন। একটু ভুল নিজের দেশের আত্বীয় স্বজনদের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।

তিনি আরও জানান, যারা আত্মগোপন করে আছেন তাদের আমরা খুঁজছি। তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে যেন তারা নিয়ম কানুন মেনে চলেন।

এদিকে রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ বিদেশ ফেরত এ পর্যন্ত ৪৫ জনের তালিকা পেয়েছে। সেটি নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি এবং মানুষকে সচেতন করছি। বিদেশ ফেরত সকলের তালিকা আমাদের কাছে নেই। আমরা জনগনের থেকে পাওয়া তথ্যে নিয়ে কাজ করছি।

জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, আমরা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কয়েকটি সভা করেছি, সেখানে আমরা প্রবাসীদের হোম কোয়ান্টাইন নিয়ম কানুন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছি, যারা আইন মানবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তবুও এলাকার মানুষের কাছে অনুরোধ থাকবে, যারা নিয়ম কানুন মানছে না, এমন প্রবাসীদের ব্যাপারে তথ্য দিন, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

ইমিগ্রেশন থেকে পাওয়া তথ্যে মতে রাঙামাটিতে প্রবাসী এসেছে ২৬৭ জন, এর মধ্যে ১৩২ জনের ঠিকানা খুঁজে পেলেও বাকি ১৩৫ জনের ঠিকানা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ মোকাবেলায় রাঙামাটি সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনে ৫০ শয্যা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিদর্শিকা কেন্দ্রে ৫০ শয্যা ও কাপ্তাইয়ে নতুনভাবে নির্মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের ৫০ শয্যা মিলে সর্বমোট ১৫০ শয্যা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

Exit mobile version