Site icon Jamuna Television

লকডাউন আতঙ্কে বিশ্ব, বাংলাদেশ কোন স্থানে?

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একের পর এক লকডাউন হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর। জারি করা হচ্ছে কারফিউ।

ভারতে সোমবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সবধরণের ট্রেন-মেট্রো এবং বাস চলাচল। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের ৭৫ জেলায় এসেছে লকডাউনের সিদ্ধান্ত। এছাড়া দেশটিতে রোববার জনতা কারফিউ চলে।

একই চিত্র প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানেও। দেশটিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বিভিন্ন শহরে। অন্যদিকে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত। প্রতিদিন ১১ ঘন্টা জরুরী অবস্থার আওতায় থাকবে দেশটি। এছাড়া আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য রাখা হয়েছে শাস্তির বিধান।

কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ আক্রান্ত সব দেশেই জন সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে জারি করা হয়েছে কারফিউ। সেখানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে স্থল ও নৌ যোগাযোগ।

এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তিনটি এলাকা লকডাউন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

উপজেলার শিবরাকান্দি, বহেরাতলা এবং চর বাঁচামারা গ্রামে একাধিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ায় সেখানে বেড়াতে আসা প্রবাসীদের ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

অন্যদিকে রোববার বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দুই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর এ লকডাউনের ঘোষণা দিল সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে সাদুল্লাপুর উপজেলা লকডাউনের সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়নি জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কমিটি। জেলা প্রশাসক বলছেন, লকডাউনের মতো কিছু হয়নি। এটি নিয়ে একটি ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র।

শনিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর-১ এর উত্তর টোলারবাগে করোনাভাইরাস শঙ্কায় আনুমানিক ৪০টি বাড়িসহ পুরো এলাকা লকডাউন করার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, স্থানীয় আবাসিক কল্যাণ সমিতি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে রাতে আইইডিসিআরের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে শনিবার (২১ মার্চ) ভোরে টোলারবাগের একটি ভবন লকডাউন করা হয়। ওই ভবনে এক বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সন্দেহে এই সিদ্ধান্ত নেয় এলাকাবাসী।

কিন্তু করোনাভাইরাস মোকাবেলায় শুধু সামাজিক লকডাউন পদ্ধতি যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা। ভাইরাসটি নির্মূলে আরো শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

Exit mobile version