Site icon Jamuna Television

করোনাভাইরাসের পর চীনে এবার ‘হান্টাভাইরাস’ আতঙ্ক

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘হান্টাভাইরাস’। চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চায়না গ্লোবাল টাইমসের বরাতে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। এদিকে ভারত ও আরো কিছু দেশে সোয়াইন ফ্লু এবং বার্ড ফ্লুর বিস্তার ঘটছে। তবে, বাংলাদেশে ‘হান্টাভাইরাস’ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

চায়না গ্লোবাল টাইমসের এক টুইটে জানানো হয়েছে, চীনের ইউনান প্রদেশের এক ব্যক্তি সোমবার একটি বাসে কাজের জন্য শানডং প্রদেশে ফেরার পথে মারা যান। সেই সঙ্গে বাসে থাকা অন্য ৩২ জন ব্যক্তিকেও ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল।

চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রসমূহের (সিডিসি) মতে, হান্টাভাইরাস মূলত ইঁদুরের দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে এবং এই ভাইরাস বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। রেন্টাল সিনড্রোমের (এইচএফআরএস) সাথে হান্টাভাইরাস পালমোনারি সিনড্রোম (এইচপিএস) এবং জ্বর হতে পারে।

ব্যাংক ভোল (BANK VOLE) নামক একটি ইদুঁরের বিষ্ঠা , মূত্র ও মৃতদেহ থেকে হান্টাভাইরাস ছড়ায়। ১৯৫০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পযর্ন্ত চীনে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মারা এই ভাইরাসে মারা গেছেন। কোরিয়াতেও এই ভাইরাসের প্রভাবে বহু মানুষ মারা গেছেন । আমাদের বাংলাদেশ এই প্রজাতির ইদুঁর পাওয়া যায় না। মানুষের থেকে মানুষের দেহে ছড়ানোর কোন রেকর্ড নেই। এই রোগটি বায়ুবাহিত নয় এবং কেবলমাত্র যদি লোকেরা ইঁদুরের প্রস্রাব, মল, লালা এবং সংক্রমিত ব্যক্তির কামড়ের সম্মুখীন হয় তবেই আক্রান্ত হয়।ফলে, চীনে আতঙ্ক ছড়ালেও বাংলাদেশে ‘হান্টাভাইরাস’ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

হান্টাভাইরাস আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, ঠাণ্ডা লাগা এবং পেটের সমস্যাসহ ক্লান্তি, জ্বর এবং পেশি ব্যথা। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে পরে কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং এই ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। সিডিসির তথ্য অনুসারে, ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণই হল হান্টাভাইরাস সংক্রমণ রোধের প্রাথমিক কৌশল।

Exit mobile version