Site icon Jamuna Television

৭৮৬ দিন পর দলীয় কার্যালয় ছাড়লেন রিজভী

কথা রেখেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরবেন না বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই অবস্থান করেন এই নেতা।

এই সময়ে বারবার অসুস্থ হয়েছেন, রাজপথে মারও খেয়েছেন রিজভী। কিন্তু দলীয় কার্যালয় ছাড়েননি। দিনভর দলীয় নানা কার্যক্রম শেষে রাতে ঘুমিয়েছেন দলীয় কার্যালয়েই। কার্যালয়ে তার জন্য ছোট্ট একটা কক্ষ আছে। সেখানে একটি খাট ও কিছু প্রয়োজনীয় আসবাব আছে। সেখানেই থাকতেন রিজভী। এভাবেই কেটে গেছে ৭৮৬টি দিন।

টানা ২৫ মাস জেল খেটে বুধবার কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নেত্রীকে মুক্ত করে বৃহস্পতিবার কার্যালয় ছেড়েছেন রিজভী। এখন থেকে দলীয় প্রয়োজনে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু সময় কার্যালয়ে থাকবেন বাকি সময় বাসায় থাকবেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।

রায় ঘোষণার আগে থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে খালেদা জিয়াকে আটক করা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বেগম খালেদা জিয়া। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হলে রিজভী নিজ থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলীয় কার্যালয়েই অবস্থান নেবেন।

৮ ফেব্রুয়ারি আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিলে পুরান ঢাকার সাবেক পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়।

একই বছরের ৩০ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ছোট একটি কক্ষে রাত্রিযাপন করে আসছিলেন রিজভী। সেখানে নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যাতায়াত করতেন। কাজের প্রয়োজনে বের হয়েছেন। কাজ শেষ হলে কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন। এভাবে কেটে গেছে ৭৮৬টি দিন।

অবশেষে খালেদা জিয়া মুক্ত হওয়ায় রিজভী সিদ্ধান্ত নেন দলীয় কার্যালয় ছেড়ে বাসায় যাবেন।

এ সিদ্ধান্তের পর আজ নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ছেড়ে ভাড়া বাসায় যান রিজভী। দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের কর্মচারীরা তাকে বিদায় জানান। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

Exit mobile version