Site icon Jamuna Television

বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়ালো, আক্রান্ত প্রায় ৫ লাখ

নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রথম হাজার ছাড়ায় ১০ ফেব্রুয়ারি। পরের ৪৫ দিনে এ সংখ্যা বেড়েছে ২১ গুণ। সংক্রমণও বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। এরমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ২২ হাজার ছাড়ালো। আক্রান্ত প্রায় ৫ লাখ মানুষ।

ইতালির সাথে স্পেনেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। স্পেনে নতুন করে প্রাণ গেছে ৪৪২ জনের। ইরানে এ সংখ্যা ১৫৭।

এদিকে, ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২শ’কোটি ডলারের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।

কোভিড নাইনটিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার ইউরোপে। শুধু বুধবারই মারা গেছেন ২১শ’র বেশি মানুষ। ইতালির পর সর্বাধিক প্রাণহানিতে ভাইরাসের উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়ে গেছে স্পেনও। আক্রান্ত দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীও।

পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রেও। ২৪ ঘণ্টার হিসেবে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড ৫০ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এদিন।

স্পেনের হেলথ ইমার্জেন্সি সেন্টারের প্রধান ফার্নান্দো সিমন বলেন, “একদিনের ব্যবধানে স্পেনে কোভিড নাইনটিনে সংক্রমণের হার বেড়েছে ২০ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রাণহানির সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আরও তিন হাজার বেশি রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন।”

ভাইরাস মোকাবেলায় সহযোগিতায় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২শ’কোটি ডলারের পরিকল্পনা নিয়েছে জাতিসংঘ। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চিঠি দিয়েছে বিশ্বের বড় অর্থনীতির ২০ দেশকে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “যে দ্রুততায় কোভিড নাইনটিন মহামারির ব্যাপ্তি ও ভয়াবহতা বাড়ছে, তাতে নজিরবিহীন হুমকির মুখে গোটা মানবজাতি। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দীর্ঘমেয়াদী আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে হলেও, যুদ্ধপীড়িত ও জলবায়ু বিপর্যয়ের শিকার নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।”

অন্যদিকে, মহামারির দু’মাসে সীমান্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও আন্তঃদেশীয় ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে প্রায় সব অঞ্চল। ঘরবন্দি প্রায় ৩শ’ কোটি মানুষ। তবে, কেবল লকডাউনের ওপর ভরসা না করে, করোনা নির্মূলে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, “জনসাধারণের ঘরবন্দি থাকা ছোঁয়াচে রোগ নিমূর্ল বা মহামারি ঠেকানোর উপায় নয়। এটা শুধু রোগ বিস্তারে কিছুটা সময়ক্ষেপণ করতে পারে। আর এই বাড়তি সময়ে বিকল্প পথ বের করতে হবে সব দেশকে। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, লোকবল বৃদ্ধি ও তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৮ দেশ ও অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি।

Exit mobile version