Site icon Jamuna Television

বিদেশে সহায়তা অর্ধেক কমালেন ট্রাম্প, কমলো বাংলাদেশের বরাদ্দও

বিভিন্ন দেশে মার্কিন সহায়তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে কমিয়ে এনেছে ট্রাম্প সরকার। চলতি বছর এ খাতে মাত্র আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে দেশটি। এরমধ্যে বেশিরভাগই যাবে ইসরায়েল, মিসরের মতো মিত্র দেশগুলোতে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য বহু দেশে মার্কিন সহায়তা কমছে এ বছর। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন অ্যাসিস্ট্যান্স বিভাগের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এ তথ্য।

দীর্ঘদিন ধরেই এককভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় দেড়শ’ দেশে বিভিন্ন খাতে বার্ষিক অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে দেশটি। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে বছরজুড়ে বন্টন হয় বরাদ্দ করা তহবিল।

এক বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বাজেট তিন ভাগের একভাগ কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন। তবে নতুন বছরের পরিকল্পনায় দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা কমে প্রায় অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক বছরে, এ খাতে গড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল ওয়াশিংটনের। এ বছর তা নেমে এসেছে মাত্র আড়াই হাজার কোটিতে।

গত ডিসেম্বরে জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোটাভুটির সময় থেকেই প্রকাশ্যে বিভিন্ন দেশে অর্থসহায়তা কমানোর হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ সে হুমকির পায় পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে একসময়ের মিত্র পাকিস্তানে কয়েক বছর ধরেই সহায়তা কমছে যুক্তরাষ্ট্রের। তিন বছর আগেও শত কোটি ডলার পাওয়া ইসলামাবাদের জন্য এ বছর বরাদ্দ মাত্র ৩৪ কোটি ডলার।

ট্রাম্প প্রশাসনের তরফ থেকে নাম ধরে কোনো হুমকি-হুশিয়ারি না এলেও অর্থসহায়তা কমছে বাংলাদেশের জন্যেও। ২০১৭ সালেও ২২ কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল ওয়াশিংটনের। ২০১৮ সালে ৪০ শতাংশ কমে তা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে। এবারও অবশ্য মার্কিন সহায়তা প্রাপ্তির তালিকায় ২৫ নম্বরে বাংলাদেশ।

সামগ্রিকভাবে বিদেশি সহায়তা কমানো হলেও মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রধান মিত্র ইসরায়েল ও মিসরের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি আগের মতোই আছে। ২০১৮ সালেও এ দুই দেশের জন্য শত কোটি ডলার বরাদ্দ রেখেছে ওয়াশিংটন। এ অর্থের বড় অংশই যাবে সামরিক খাতে।

Exit mobile version