Site icon Jamuna Television

অবশেষে উপজেলা ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো বৃদ্ধের কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সেই ছবি

মাস্ক না পরার দায়ে কিনা তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখে ভ্রাম্যমাণ আদালত; শুধু তাই নয়, সেই ছবি আবার আপলোড করা হয় সরকারি ওয়েবসাইটে! গোটা বিষয়টি নিয়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অবশেষে সেই ছবিটি সরানো হলো উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে।

শুক্রবার বিকেলে যশোরের মনিরামপুরে ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েমা হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনজন বৃদ্ধ নাগরিককে এ সাজা দেয়। শুধু তাই নয়, কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজে ওই চিত্র তার মোবাইলে ধারণ করেন।

জানা যায়, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লোকসমাগম না করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চিনাটোলা বাজারে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়েন প্রথমে দুই বৃদ্ধ। এর মধ্যে, একজন বাইসাইকেল চালিয়ে আসছিলেন। অপরজন রাস্তার পাশে বসে কাঁচা তরকারি বিক্রি করছিলেন। কিন্তু তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।

এ সময়, পুলিশ ওই দুই বৃদ্ধকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাস্তি হিসেবে তাদেরকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। তিনি নিজে আবার মোবাইল ফোনে এ চিত্র ধারণ করেন। এরপর, একজন বৃদ্ধ ভ্যান চালককেও অনুরূপভাবে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার সাজা দেন। এ ছবি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বয়স্ক নাগরিকদের এভাবে সাজা দেয়াটাকে মেনে নিতে পারেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন দণ্ড প্রদানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। পাশাপাশি, এই ছবি সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোডের পর সংশ্লিষ্টদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন অনেকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিভাবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে, সরকারি ওয়েবসাইটে এই ছবি দেয়ার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ফোন দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। বয়স্ক নাগরিকদের এভাবে কান ধরিয়ে দাঁড় করার বিষয়টি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

তবে, যমুনা নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি উঠে আসার পর মাঝ রাতে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় ছবিটি। পেইজটিকে ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ অবস্থায় পাওয়া যায়।

Exit mobile version