Site icon Jamuna Television

আবারও ভাঙলো করোনায় একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড

করোনায় একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড আবারও ভাঙলো। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন, ৪ হাজার ৪শ’ মানুষ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪২ হাজার। নতুন করে আক্রান্ত ৭২ হাজারের বেশি; মহামারি শুরুর পর যা দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ।

সংক্রমণ-মৃত্যুর রেকর্ড হলেও, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে সামনে। জাতিসংঘের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংকটে পৃথিবী।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে, ইতালি-স্পেনের পর এবার করোনার ভয়াবহতা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়ামেও দিনদিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। ২৪ ঘণ্টায় শুধু ইউরোপেই প্রাণ গেছে তিন হাজার মানুষের।

যুক্তরাজ্য’র কেবিনেট অফিস মিনিস্টার মাইকেল গোভ বলেন, “কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করায় দিনের হিসেবে সংক্রমণের ব্যবধান কমে আসবে বলে আশা করছি। একেকটি জীবন বাঁচাতে জাতীয় ঐক্যের এখন কোনো বিকল্প নেই।”

যুক্তরাষ্ট্রে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে প্রাণহানি বেড়েছে ৩৭ গুণ; সংক্রমণ বেড়েছে ৩০ গুণ। সংক্রমণ-প্রাণহানির রেকর্ড হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে দুই লাখও।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “করোনার বিস্তার রোধে কোনো পদক্ষেপই না নেয়া হলে ২২ লাখ মানুষের মৃত্যু দেখতে হতো। এ সংখ্যা কমানোই এখন লক্ষ্য। আগামী দু’তিন সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সময় হতে যাচ্ছে। এক থেকে দু’লাখ স্বজন হারাতে পারি আমরা। ভয়ঙ্কর এই সময়ের জন্য প্রতিটি নাগরিককে প্রস্তুত হতে হবে।”

জাতিসংঘ বলছে, কেবল ইউরোপ বা আমেরিকা নয়, সারা বিশ্ব যে দুর্যোগ দেখছে; তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংকট।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “ভাইরাস মোকাবেলায় সারা পৃথিবীর যে সমন্বিত প্রয়াস দরকার ছিল, তার ধারেকাছেও আমরা নেই। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ঐক্যের অভাব কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ- কোভিড নাইনটিনের বিস্তার ঠেকাতে না পারা। এর ফলে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা।”

জানুয়ারির শেষেও, ভাইরাসের উৎসস্থল চীনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬শ’র কম। দু’মাসে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার গুণ। গত দু’দিনেই নতুন করে আক্রান্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ।

Exit mobile version