Site icon Jamuna Television

করোনার বিস্তার নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি ব্লেম গেম খেলা অন্যায়: ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র

ভারতে করোনাভাইরাসের বিস্তারের দায়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিয়ে ব্লেম গেম না খেলে বরং এরকম প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতার স্বার্থে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার দায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চাপানো অন্যায়। ওদের (বিভিন্ন সরকারের) উচিত স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে না, এরকম কিছু হয়নি। আমরা জানি এই ভাইরাসের উৎস কী। আমরা জানি এটি একটি মহামারী; যা সারা বিশ্বের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে, যার সঙ্গে সংখ্যালঘুদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা দেখছি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় দোষারোপের খেলা চলছে। আমর আশা করব যে সেইসব সরকার জোর দিয়ে এই ধরনের প্রচেষ্টার মোকাবিলা করবেন।

সম্প্রতি ভারতে নয়া দিল্লিতে নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামায়াতের এক সমাবেশ থেকে করোনার বিস্তার ব্যাপক হারে হয়েছে বলে বিভিন্ন মন্তব্যের পরেই এই প্রতিক্রিয়া দেন তিনি।

ব্রাউনব্যাক আরও বলেন, সকল ধর্মের মানুষের উচিত এই সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা। সেইসাথে ইরান ও চীনে তাদের দেশের শান্তিকামী ধর্মীয় বন্দিদের মুক্তি দেয়া উচিত।

অন্যদিকে, তাবলিগ জামায়াতের এই সমাবেশের কারণে ভারতে করোনার বিস্তার ঘটেছে বলে বিভিন্ন দাবির বিরোধীতা করে ও মার্কিন এই দূতের সাথে তাল মিলিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন দেশটির কয়েকজন বুদ্ধিজীবি।

তাদের মধ্যে রয়েছেন: হর্ষ মন্দার, জয়তী ঘোষ, কান্নন গোপীনাথন, নিবেদিতা মেনন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যোগেন্দ্র যাদব প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এহেন অনুপযুক্ত সময়ে এই ধরণের বড় জমায়েত সংগঠিত করা এবং তা হতে দেওয়ার জন্য একদিকে এই সম্মেলনের সংগঠক এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শাখা, বিশেষত দিল্লি পুলিশ, সব পক্ষই দায়ী। কেন্দ্রীয় এবং দিল্লি সরকার যেভাবে এর সমস্ত দায়ভার ঝেড়ে ফেলে সম্পূর্ণ দোষ জমায়েতের সংগঠকদের উপরে চাপাতে চাইছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। তবলিগ জামাতের সংগঠকদের যেমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য জবাবদিহি করতে হবে, একই সঙ্গে এই বিভ্রাটের জন্য বিভাগীয় মন্ত্রী এবং উচ্চ আধিকারিকদেরও দায়ভার নিতে হবে।”

Exit mobile version