Site icon Jamuna Television

শরীয়তপুরে করোনায় মৃত্যু ১: লকডাউন ৩১টি বাড়ি

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বাংলাদেশ আজ যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন শরীয়তপুরের। তিনি নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের থিরোপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

ঘটনার পর ওই এলাকার ৩১টি বাড়িসহ নড়িয়া উপজেলার সকল হাট বাজারকে লকডাউন এর আওতায় এনেছে প্রশাসন এবং ১৮১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনায় মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৯০ বছর। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ১ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার স্বজনরা নিয়ে আসেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স হাসপাতলে স্থানান্তর করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তার শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায়। পরে তাকে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকেই তাঁর করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় তার দেহে করোনা উপস্থিতি পাওয়ায় তাকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখানেই শনিবার সকালে তিনি মারা যান।

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি নিউমোনিয়া রোগে ভুগছিলেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। এর আগে তিনি ঢাকায় মিরপুরের টোলারবাগ তার‌ বড় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

সেখান থেকে তিনি দেওয়ানবাগী পীরের বাড়ি যান বলে জানা গেছে। এরপর সেখান থেকে তার ছোট মেয়ের বাড়ি আসেন। মেয়ের বাড়ি বেড়ানো শেষে গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। তবে তিনি কিভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার বাড়িসহ ওই এলাকার ৩১টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে নড়িয়া উপজেলার সকল হাট বাজার লকডাউন এর আওতায় রয়েছে। এই নির্দেশনা পুরো উপজেলা জুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। সেইসাথে করোনা প্রতিরোধে সকলকে নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Exit mobile version