Site icon Jamuna Television

বিল গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চলছে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষা

গোটা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে আণুবীক্ষণিক করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন ও ওষুধের খোঁজ চলছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ছোট বায়োটেক কোম্পানি ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যাল করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করছে। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়ার পর সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইনোভিও তাদের ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় অর্থায়ন করেছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস।

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আপ্রাণ চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে দেশটির শীর্ষ ১২টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ মহামারি রোধে প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এর মধ্যে ইনোভিওর তৈরি ‘আইএনএ-৪৮০০’ ভ্যাকসিনটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানব পরীক্ষা শুরু করার জন্য দ্বিতীয় সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা তাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি এস ফাউসি বলেছেন, ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কোনো ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর কি না, তা জানতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গবেষকদের ওপর চাপ বাড়ছে। বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য সরকারি গবেষকদের কাছে পাঠিয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ডোজ স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের জেনিফার হলারের ওপর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সিয়াটলের কায়সার পার্মানেন্তে ওয়াশিংটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা নেন হলার।

ইনোভিও ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফিলাডেলফিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া মেডিকেল স্কুল ও মিসৌরির কানসাস সিটির সেন্টার ফর ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চে ৪০ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন। প্রতিজন স্বেচ্ছাসেবক চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ ভ্যাকসিন পাবেন। ইনোভিও পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা দ্রুত পরীক্ষা শেষে গ্রীষ্মের শেষের ফলাফল প্রত্যাশা করছে। ফলাফলের ওপর নির্ভর করে আরেক দফা চালানো হবে পরীক্ষা।

এরই মধ্যে, উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা পাওয়া ইনোভিও। লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে ১০ লাখ ডোজ তৈরির সক্ষমতা অর্জন করা যায়।

Exit mobile version