Site icon Jamuna Television

করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের খবরে টেকনাফ–উখিয়া সীমান্তে গ্রামবাসীর পাহাড়া

কক্সবাজার প্রতিনিধি,

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবরে রাত জেগে পাহাড়া দিয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে উখিয়ার পালংখালী ও টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় বিজিবি সদস্যদের সাথে গ্রামবাসীও পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া, রহমতের বিল, ধামনখালী, বালুখালী ও টেকনাফের উলুবনিয়া, খারাইংগাঘোনা ছাড়া বিভিন্ন সীমান্তে রাতভর পাহাড়া দেয়।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পালংখালী ইউনিয়নের আনজুমান পাড়া সীমান্তের ওইপারে মিয়ানমারে শতাধিক রোহিঙ্গাকে অবস্থান করতে দেখে এইপাড়ের জেলেরা। পরে জানা যায়, সেখানে কিছু সন্দেহজনক করোনা রোগী এদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা চিকিৎসার জন্য উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসতে চাচ্ছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে করোনা রোগীর অনুপ্রবেশের খবরে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শত শত গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিজিবি সদস্যদের সাথে সীমান্তে পাহাড়া দিতে থাকে।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুনর রশিদ সিকদার জানান, নাফ নদীতে মাছ শিকারে যাওয়া এক জেলের মাধ্যমে এলাকাবাসী জানতে পারে মিয়ানমার সীমান্তে অসুস্থ কিছু রোহিঙ্গাকে বহন করে নিয়ে আসা আরো কিছু রোহিঙ্গা টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে পাহাড়া দিতে আহ্বান জানানো হয়। এসময় শত শত গ্রামবাসী সীমান্তে অবস্থান নেয়।

কক্সবাজার বিজিবি ৩৪ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, উখিয়া সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের একটি দল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি শুনেছি, আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে বলেন নতুন করে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বিজিবি টেকনাফের হোয়াইক্যং ফাঁড়ির কমান্ডার জানান, বিষয়টি শুনে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর উখিয়া-টেকনাফের যেসব সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে তার মধ্যে উখিয়ার আঞ্জুমান পাড়া ও টেকনাফের উলুবনিয়া অন্যতম।

Exit mobile version