
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জে দুই নারীসহ সাত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার মধ্য রাতে জরুরি ফোনে আইইডিসিআর মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করে। মুন্সিগঞ্জ, গজারিয়া, সিরাজদিখান, শ্রীনগর এবং টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় রাতেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার একজন নারী এবং সিরাজদিখানের আরেকজন নারী রয়েছেন। বাকি পাঁচ পুরুষের মধ্যে গজারিয়ায় দু’জন। এরা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) এবং আরেকজন উপজেলাটির একটি গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দু’জন ও শ্রীনগর উপজেলার একজন পুরুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ৮ এপ্রিল পরীক্ষার জন্য মোট ১৬ জনের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। এর মধ্য থেকেই ৭ জনের করোনা পজেটিভ আসে। সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এদের অধিকাংশই নারায়ণগঞ্জের মাধ্যমে সংক্রমিত। এছাড়া, টঙ্গীবাড়ির আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকার মিরপুর থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে ঢাকায় ভর্তি করার জন্য রাতেই মুন্সিগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে। 
মুন্সিগঞ্জের সিভিল সার্জন জানান, গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কর্মকর্তার সাথে যারা ডিউটি করেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পজেটিভ পাওয়া সকলের সাথেই আইইডিসিআর এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ কথা বলেছেন। সাত জনের শারীরিক অবস্থা এখনও গুরুতর নয়।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, গত ৭ এপ্রিল উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের ফৈনপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী একব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পরে। নমুনা সংগ্রহের পর থেকে তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুমন বণিক জানান, পজেটিভ দু’জনের নমুনা মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। যদিও একজনের বাড়ি টঙ্গীবাড়ি উপজেলায়। তিনি মুন্সিগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। এই দু’জনের সাথেই কথা হয়েছে। তারা বাড়িতেই আছেন। সকালে গিয়ে বাড়ি লকডাউন ছাড়াও আইসোলেশনে নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply