Site icon Jamuna Television

করোনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না নিকারাগুয়া

করোনাভাইরাস মহামারীকে আমলেই নিচ্ছে না নিকারাগুয়া। মহামারী মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছে না। কোনো নিয়মই মানছে না তারা। বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে ‘সামাজিক দূরত্বের’ নীতির প্রতি। করোনা ঠেকাতে সারা বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার প্রত্যেকটা দেশই এখন লকডাউন। একমাত্র ব্যতিক্রম নিকারাগুয়া। দেশটিতে করোনা নিয়ে কোনো কথাই নেই। নেই সচেতনতামূলক কোনো কর্মকাণ্ডও। মহামারী নিয়ে কোনো বার্তাও দিচ্ছে না সরকার। প্রায় এক মাস ধরে জনসম্মুখে দেখা যায়নি দেশটির প্রেসিডেন্ট ডানিয়েল ওর্তেগাকে। একপ্রকার নিখোঁজ হয়ে গেছেন তিনি। জল্পনা চলছে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে। সরকার-প্রশাসন চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্টপত্নী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্স্টলেডি রোজারিও মারিলো জামব্রানা। তিনি বলছেন, করোনাভাইরাস কোনো সমস্যাই নয়। ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য প্রিন্ট।

ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্রতম দেশ নিকারাগুয়া যেকোনো প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গত মাসের শেষের দিকে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় দেশটিতে। কিন্তু দেশটির সরকার আগে থেকেই মহামারী মোকাবেলার সব নীতিই অস্বীকার করে আসছে। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধিগুলোর প্রতিও অবজ্ঞা করছে। সামাজিক দূরত্ব মানার কথা তো বলছেই না, উল্টো দেশের জনগণকে আগের মতোই ছুটির দিনগুলোতে হোটেল-রেস্তোরাঁ আর সমুদ্র সৈকতে উৎসব-মাস্তি করে কাটাতে উৎসাহ দিচ্ছে।

করোনা নিয়ে কোনো পদক্ষেপই নেই সরকারের পক্ষ থেকে। এমনকি গত এক মাস মানুষের সামনে নিজের চেহারাও দেখাননি প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা। তাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১২ মার্চ করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রাক্কালে। তার এই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে। গুঞ্জন চলছে, দেশকে করোনার মুখে ফেলে সেল্ফ আইসোলেশনে গেছেন প্রেসিডেন্ট! মনে করা হচ্ছে, তাকে হয়ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে! মারাও গিয়ে থাকতে পারেন! তবে তার ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো তথ্যই জানানো হচ্ছে না। সরকার বলছে, প্রেসিডেন্ট তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

Exit mobile version