Site icon Jamuna Television

চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন না মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহকরা

টানা ছুটিতে অফিস-আদালত, বিপণিবিতান বন্ধসহ দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির। স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে আর্থিক প্রবাহ। ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও সীমিত হয়ে পড়েছে। তাই নির্ভরতা বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে।

চলমান সংকটে চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করায় চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের বিক্রয় কর্মী ও এজেন্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি। এ সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং লেনদেনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সাধারণ ছুটির কারণে দোকানপাট বন্ধ থাকার পাশাপাশি অনেক জায়গায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট আউটলেটও বন্ধ। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কিছু খোলা থাকলেও লেনদেন হচ্ছে কম। অন্যদিকে ডিস্ট্রিবিউটররাও দোকানে দোকানে গিয়ে লোড দিয়ে আসতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম (হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স) জানিয়েছেন, বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দৈনিক লেনদেন এখন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো, এখন সেখানে ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে প্রথমবার ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউটে কোনও চার্জ না নিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে মাসিক লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে।

Exit mobile version