Site icon Jamuna Television

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া ট্রাম্প, তিন ধাপে তুলতে চান লকডাউন

করোনাভাইরাসের প্রকোপে অচল পুরো বিশ্ব। কার্যত লকডাউন হয়ে আছে একেক একটি দেশ। ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকেও দেশটি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।

করোনায় দেশটিতে মারা গেছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। লকডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত এক মাসে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। দেশের স্থবির অর্থনীতিকে সচল এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন ধাপে তুলতে চান লকডাউন। এ খবর দিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই পরিকল্পনায়, অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে লকডাউন তুলে নিতে রাজ্য সরকারদের জন্য সুপারিশ রয়েছে। কোনো নির্দেশ নয়। তারা সেগুলো বিবেচনায় নিতে পারে তবে কার্যকর করায় বাধ্য নয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মাসের শুরু থেকেই অর্থনীতি সচলের পক্ষে কথা বলে আসছেন। সোমবার তিনি দাবি করেন, কোনো রাজ্যে লকডাউন থাকবে কি থাকবে না তা নির্ধারণের সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে তার। যদিও এ ধরনের সিদ্ধান্ত কেবল রাজ্য সরকাররাই নিতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকার নয়। পরবর্তীতে অবশ্য পিছিয়ে আসেন ট্রাম্প। নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আমরা একবারে সব খুলবো না। সতর্কভাবে একবার একটি করে পদক্ষেপ নেবো।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুসারে, অন্তত কিছু রাজ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি বিধিনিষেধ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। যেসব রাজ্য এজন্য সরকারের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে পারবে, তারা আজ শুক্রবার থেকেই লকডাউন তুলে নিতে পারবে। ট্রাম্প জানান, এমন অবস্থায় আছে ২৯টি রাজ্য।

তার সুপারিশ অনুসারে, লকডাউন প্রত্যাহারের প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ১০ জন মানুষ জমায়েতের অনুমোদন দেয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ সীমিত রাখতে হবে, কর্মীদের টেলিযোগাযোগ ব্যবহার করে কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং অফিসে জড়ো হওয়ার জায়গা কমাতে হবে। এই ধাপে স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে মুভি থিয়েটার, রেস্তোরা, স্টেডিয়াম খুলে দেয়া হবে।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির আশঙ্কা না থাকলে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে। এই ধাপে জমায়েতের সংখ্যা ৫০ জনে বাড়ানো হবে। অনাবশ্যক ভ্রমণ পুরোপুরি চালু করে দেয়া হবে। স্কুল খুলে দেয়া হবে। শর্ত মেনে বারও খুলে দেয়া হবে। হাসপাতালগুলো ইতিমধ্যে ভর্তি থাকা রোগীদের অনাবশ্যক সার্জারির কাজ শুরু করতে পারে। তৃতীয় ধাপে অবাধ মেলামেশা নিয়ে সকল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।

Exit mobile version