Site icon Jamuna Television

পটুয়াখালীতে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না অনেকেই

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীতে করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও জেলা প্রশাসনের উদাসীনতায় করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার সরকারের নির্দেশনার বাস্তবায়ন ভেস্তে যেতে চলছে। জেলার ৮টি উপজেলার সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রতিদিনই প্রশাসনের সামনে বসছে হাট। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে স্থানীয়রা নানা ভাবে প্রশাসনকে অনুরোধ জানালেও তা কোন কাজেই আসছে না। জেলার শতাধিক চরগুলিতে এ পরিস্তিতি আরো নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব বিষয়টা কি সেটাই অনেকের অজানা। জেলার সার্বিক এ অবস্থা নিয়ে শংকিত চিন্তিত সুশীল সমাজসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয় অনেককে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেরাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পাড়া মহল্লায় আড্ডাবাজদের তাড়াতেও দেখা গেছে। সম্প্রতি আতিকুর রহমান রনিক নামের শহরের এক যুবলীগ নেতার এমন এক ভিডিও গোটা জেলায় ভাইরাল হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বিকালে শহরের মিঠাপুকুর পাড়ে উঠতি বয়সের ১০/১২জন তরুণ রাস্তার পাশে বসে মোবাইল নিয়ে আড্ডায় ব্যস্ত। যা দেখে তিনি ওই স্থান থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

আবার গত কয়েকদিন ধরে কলাপাড়া উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বাজারে সেই পুরনো চিরচেনা রূপ দেখা গেছে। লোকেলোকারন্য অবস্থায় যে যেভাবে পারছে নিত্যদিনের পণ্য সামগ্রী বিকিকিনিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে সদর উপজেলার মৌকরণ, শ্রীরামপুর, মরিচবুনিয়া খাসেরহাটসহ বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে।

অপর দিকে অধিক সংক্রমিত এলাকা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যখন দলে দলে সড়ক ও নৌ পথে জেলায় ঢুকছিল তখন প্রশাসনকে অবহিত করে লাভ হয়নি। গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পটুয়াখালী দুমকিতে আসা গার্মেন্টস কর্মী দুলাল হাওলাদারের মৃত্যুর পর সীমিত আকারে নদীতে ও সড়কে টহল জোরদার করলেও কোনভাবেই ফেরানো যাচ্ছেনা। জেলায় সামাজিক দূরত্ব না মানা ও অবাদে হাট-বাজারগুলিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগমের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের অপেক্ষায় জেলার লাখ লাখ মানুষ।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version