Site icon Jamuna Television

দাফনের ৩ দিন পর বৃদ্ধার করোনা শনাক্ত, ৫০ বাড়ি লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে দাফনের ৩ দিন পর বৃদ্ধার করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ৫০ বাড়ি বিশেষায়িত লকডাউন করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তাকে চিকিৎসা করায় শিবচর হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও এক সেবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে শিবচরের কুতুবপুরের ওই বৃদ্ধা (৭০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। শিবচর হাসপাতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ও এক সেবক তার চিকিৎসা করে। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ এপ্রিল বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। সেখানে তার করোনাভাইরাসের নমুনা রাখা হয়। ২৩ এপ্রিল শিবচরের কুতুবপুরে তার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। রবিবার ওই বৃদ্ধার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসলে বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানানো হয়।

পরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ইউএনওসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দরা বাড়িটিতে গিয়ে ওই বাড়ি ও আশে পাশের ৫০টি বাড়ি বিশেষায়িত লকডাউন ঘোষণা করে লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ওই বৃদ্ধা শিবচর আসার পর চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে করোনা টেস্টে তার পজেটিভ এসেছে। ধারনা করা হচ্ছে ওই মেডিকেল থেকেই সে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। কারণ তার বাড়িতে গিয়ে আমরা প্রবাসীদের কোন সংযোগ পাইনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধার জানাজা, দাফন কাজে সংস্পর্শে আসা নিজের ও পার্শ্ববর্তী ৫০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িসহ ওই এলাকায় লাল ফ্লাগ টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এনিয়ে শিবচরের মোট রোগীর সংখ্যা ১৮। ২ জন মারা গেলেন। এদের মধ্যে আগেই সুস্থ হন ৩ জন। ৯ এপ্রিল সদর হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে ৮ জন মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেন (এদের মধ্যে ৫ জন ২য় দফায় আক্রান্ত)। দু দিন আগে এক চিকিৎসক সুস্থ হয়ে শিবচরের বাসায় ফিরেন। বর্তমানে নারী চিকিৎসক সন্তানসহ ৪ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।

Exit mobile version