Site icon Jamuna Television

করোনার পর বৈধ শিক্ষার্থী ছাড়া আর কেউ ঢাবির হলে উঠতে পারবে না

করোনা সংকট কাটিয়ে উঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যাতে আর বহিরাগত ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা না থাকতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেইসাথে হলগুলোতে গণরুম পদ্ধতির অবসান করে শুধুমাত্র বৈধ ছাত্রদের নির্বিঘ্নে থাকা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা এখনই তাদের (যাদের ছাত্রত্ব শেষ) মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এই নোটিশ (হলে বহিরাগত ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের না থাকতে দেয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নোটিশ) দিয়েছি, যাতে তারা এরপর আর হলে উঠতে চেষ্টা না করেন।

তিনি বলেন, হলগুলো খুললেই আমরা হল প্রশাসনের সহযোগীতা নিয়ে গণরুমগুলো বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সেই সাথে প্রতিটি বৈধ শিক্ষার্থী যাতে সিট পায় সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও হলগুলোতে ফ্লোরিং করে যারা থাকছে তাদের আর থাকতে দেয়া হবে না।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হলে বহিরাগত ও ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের ব্যপারে নির্দেশনা দিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন ভার্চুয়াল মিটিং প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে প্রভোস্ট কমিটির এক সভায় এ সকল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯ ) উত্তর সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও হলের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়।”

# বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শুধু বৈধ শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট হলের নীতিমালার আলোকে হলে অবস্থান করবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই তারা কোনোক্রমেই হলে অবস্থান করতে পারবে না। তাদেরকে হল প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কক্ষ/সিট ছেড়ে দিতে হবে। তীব্র আবাসন সংকট নিরসনে এর বিকল্প নেই।

# হলের কোন কক্ষের মেঝেতে কোন শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবে না। প্রয়োজনে, যথাযথ নিয়মে ডাবলিং করতে পারবে।

# যে সব কক্ষে খাট/বেড নাই ছুটিকালীন সময়ে সে সব কক্ষে নিয়মমাফিক খাট/বেড সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেবে হল প্রশাসন।

# সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা কথিত ‘গণরুমের’ অবসান ঘটবে। তবে এই ‘গণরুমের’ অবসান ও ‘যাদের ছাত্রত্ব নেই তাদের হলে অবস্থান না করার’ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর আন্তরিক সহযোগিতা অত্যাবশ্যক বলেও সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

# বিশ্ববিদ্যালয় ছুটিকালীন সময়ের মধ্যে হল প্রশাসন হলের সংস্কার ও পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করবে।

ভার্চুয়াল এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা ছাড়াও প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন সংযুক্ত ছিলেন।

Exit mobile version