Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত, হাসপাতালের দুটি ব্লক লকডাউন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ ব্লক লকডাউন করা হয়। এছাড়া প্যাথলজি বিভাগের চারজনকে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। করোনা শনাক্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তাকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে যারা করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে যেতেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল প্যাথলজি বিভাগে। পরে এসব নমুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঠানো হতো রংপুর মেডিক্যাল কলেজের (রমেক) করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে। আর এ কাজে যুক্ত ছিলেন প্যাথলজি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তিনজন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট একজন ও এমএলএসএস একজন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে এক মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাব) করোনার উপসর্গ কাশি দেখা দিলে ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে রমেকে পাঠানো হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করে মঙ্গলবার রাতে তার করোনা শনাক্তের বিষয়টি ধরা পড়ে।

তিনি আরও জানান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হলে বুধবার সকালে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ ও বহির্বিভাগ দুটি ব্লক লকডাউন ঘোষণা করে তালাবন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া তার সংস্পর্শে আসা আরও চারজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় এবং তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুরে মেডিকেলে পাঠানো হয়। লকডাউনে প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে বহির্বিভাগ সেবা জরুরী বিভাগের ব্লকে নেওয়া হবে।

এ নিয়ে গাইবান্ধায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ জনে। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জের এক কিশোর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে মারা যান। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন রোগী।

Exit mobile version