Site icon Jamuna Television

উপসাগরীয় সংকটের মূলে একজন নারী

একজন নারীর পাসপোর্ট নবায়ণকে কেন্দ্র করেই সাম্প্রতিক সময়ে উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি দেশটির জাতীয় টেলিভিশনকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিরোধী রাজনৈতিকের স্ত্রীকে প্রত্যার্পন না করায় প্রতিবেশি আরব আমিরাত কাতারের ওপর চড়াও হয়, এবং গণ মাধ্যমে আক্রমণাত্নক বক্তব্য দিতে থাকে।”

ওই নারী ও তার স্বামী ২০১৩ সালে আরব আমিরাত ছেড়ে কাতারে চলে আসে। এরপর স্বামী যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমালেও পারিবারিক বন্ধনের কারণে স্ত্রী কাতারে থেকে যায়। কিন্তু তিনি পাসপোর্ট নবায়ণ করতে চাইলে কাতারস্থ আমিরাত দূতাবাস তা প্রত্যাখান করে, এবং তার প্রত্যার্পন দাবি করে।

আল-থানি বলেন, “আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ ওই নারীর প্রত্যার্পন দাবি করে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি’র নিকট একটি প্রতিনিধি দল পাঠান।”

তিনি আরও বলেন, “ওই নারী কোনো অপরাধ মূলক কাজে জড়িত নয়, ফলে তার প্রত্যার্পন আন্তর্জাতিক আইন ও কাতারের সংবিধানের পরিপন্থী। এ সব বিবেচনায় শেখ তামিম প্রত্যার্পনে অস্বীকৃতি জানান।”

ছয় মাস আগে প্রতিবেশি সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, এবং মিশর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নসহ জল, স্থল ও আকাশ পথে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছিল।

এ ঘটনারও দুই মাস আগে আরব আমিরাত গণ মাধ্যম সূত্রে কাতারকে আক্রমণ করা শুরু করেছিল। এ বিষয়ে কাতার ব্যাখ্যা চাইলে আরব আমিরাত জানিয়েছিল, ওই নারীকে প্রত্যার্পণ করলে এ আক্রমণ বন্ধ করা হবে। তখনও প্রত্যার্পনে রাজি হয়নি কাতার।

আরব আমিরাত, এবং সৌদি আরবের তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন নায়েফকে বিষয়ের আদ্যপন্ত সম্পর্কে অবহিত করার পরেও তারা বিষয়টি মেনে নেয়নি।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ

Exit mobile version