Site icon Jamuna Television

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু সন্তানকে খুন করলেন পিতা

?????????????????????????

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পিতার হাতেই শ্বাসরোধে খুন হয় দেড়-বছর বয়সী শিশুকন্যা ফারহানা আক্তার রাহিমা।

সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন।

এরআগে বিকালে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট রায়হান চৌধুরীর আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সন্তান হত্যাকারী ঘাতক পিতা ফয়েজ আহাম্মদ মনু (৪৫)। ঘাতক মনু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্বরাজাপুর গ্রামের মৃত হোসেন চোরা ওরফে খোরশেদ আলমের পুত্র।

বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে ঘাতক ফয়েজ আহাম্মদ মনু খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে জানায়, পাশের বাড়ির মতিনদের সাথে জমি পরিমাপ এবং বিদ্যুতের লাইন টানা নিয়ে তার সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। তাদেরকে হত্যা মামলায় ফাঁসাতেই নিজের শিশুকন্যাকে হত্যার একক পরিকল্পনা নেয় পিতা মনুমিয়া। গত ৫ই মে তারিখ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বাড়িতে খেলাধুলা করছিল শিশু রাহিমা। এসময় সবার অজান্তে রাহিমাকে কোলে তুলে বাড়ি থেকে একটু দূরে নির্জন ঝোঁপের কাছে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সেখানেই লুকিয়ে রাখে। এরপর বাড়িতে এসে তার মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন সবাই। সারাদিন চলে যাওয়ার পর রাত ১০টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মেয়ে হারানোর সাধারণ ডায়রি করেন পিতা মনুমিয়া নিজেই। এরপর পুলিশসহ বাড়ির আশপাশের বিভিন্নস্থানে শিশু রাহিমাকে খোঁজাখুজি করা হয়। কিন্তু তাকে আর পাওয়া যায়নি। ৮ মে শুক্রবার রাত ১২টার পরে শিশু রাহিমার লাশ ওই ঝোঁপের থেকে নিয়ে এসে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয় শিশুটির পিতা নিজেই। পরদিন শনিবার সকাল ৭টায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় ফোনে খবর দেয় তার মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে তার বাড়ির টয়লেটের সেপটি ট্যাংকিতে। এরপর পুলিশ এসে সেপটিক ট্যাংকি থেকে শিশু রাহিমার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় শিশু রাহিমার মা’ রাশেদা আক্তার সুমি বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন বলেন, জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান দিকনির্দেশনায় শিশুকন্যা রাহিমা হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, খুনের যাবতীয় পরিকল্পনা ও লাশ গুমের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক পিতা ফয়েজ আহাম্মদ মনুমিয়া। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই চাঞ্চল্যকর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।

Exit mobile version