Site icon Jamuna Television

প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির দোষ স্বীকার করলো বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার দায় স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন।

ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই দফা রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর হাকিম ইয়াসমিন আরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে ১৩ মে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৮ মে ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম তরিকুল ইসলামসহ তিনজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় আটক অন্য দুজন হলেন- ফরহাদ ও নাজিম উদ্দিন। তারাও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা এ মামলায় গত ১০ মে, রোববার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ফাতেমা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ওই নথিটি বের করে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। আর কারা ঘটনায় জড়িত তাদের নামও বলেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে রাতে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডের বাসা থেকে তরিকুল ইসলাম মুমিনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এমদাদুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপনের পর তিনি অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপরই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পরে দ্বিতীয় দফায় ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন।

এ ঘটনায় গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।

Exit mobile version