Site icon Jamuna Television

লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে ধনীদের বিচিত্র উচ্চাভিলাষ

টানা লকডাউনের কারণে যখন বিপর্যস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যবিত্ত আর দরিদ্র শ্রেণীর, তখন একেবারেই বিপরীত চিত্র উচ্চবিত্তদের ক্ষেত্রে। ছুটির আমেজে বন্দীদশা কাটছে এসব ধনীদের। ভাইরাস থেকে বাঁচতে অত্যাধুনিক বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন কেউ। কারো পছন্দ বিলাসবহুল জলযান ইয়ট। এমনকি লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে আস্ত দ্বীপ ভাড়া করে তাতে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে।

বাইরে থেকে পরিত্যক্ত বাংকার মনে হলেও, ভেতরে সুইমিং পুল থেকে শুরু করে বাগান, শুটিং রেঞ্জ অত্যাধুনিক জীবন যাপনের সব ব্যবস্থাই রয়েছে বাংকারের ভেতরে। করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা বাড়ছে এ ধরণের বাংকারের।

রাইজিং কোম্পানির লিঞ্চ প্রধান বলেন, আগের চেয়ে ৪শ গুন বেশি বেড়েছে এ ধরণের বাংকারের চাহিদা। কোনও কোনও বাংকারের আয়তন প্রায় ৬ হাজার বর্গফুট। শুধুমাত্র থাকা কিংবা খাওয়ার জায়গা নয়, পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দীর্ঘ সময় কাটানো যায় এমন সব ব্যবস্থা রাখার চাহিদাও রয়েছে ক্লায়েন্টদের তরফ থেকে।

তবে ইউরোপের ধনীরা ঝুঁকছেন পুরনো প্রাসাদ কিংবা দুর্গ কেনার দিকে। কেউবা আবার ভাড়া করছেন আস্ত দ্বীপ। ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জন-বিচ্ছিন্ন হতে এরইমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে দ্বীপান্তরি হওয়া।

কুইন্টেসেনশিয়ালি এস্টেট’র সিইও মুসগ্রোভ বলেন, স্কটল্যান্ডের যে প্রাসাদ এবং দুর্গগুলো কিনতে চাইছেন অনেকে। আবার অনেকে কয়েকমাসের জন্য এগুলো ভাড়া নিয়েছেন লকডাউনে থাকতে। তবে সবচেয়ে বেশি পেয়েছি দ্বীপ লিজ নেয়ার আবেদন।

এসবের বাইরেও, অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যসহ ঠাই নিচ্ছেন হোটেলে। আর এক্ষেত্রে ভাড়া করছেন পুরো হোটেলই।

Exit mobile version