Site icon Jamuna Television

যতো বৃষ্টি হবে ততো দুর্বলের দিকে যাবে ‘আম্পান’

সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে ঝড়ো বাতাসে সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তবে, সাইক্লোনটির কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রবেশ না করায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ঘুর্ণিঝড়টি ভূমিতে উঠার পর দুর্বল হয়নি। ফলে প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে উপ-পরিচালক বজলুর রশিদ জানান, ‘আম্পান’ এর শক্তি এখনো আছে। আগামী দুই-তিন ঘণ্টা পর এটি কিছুটা উত্তরের দিকে যেতে পারে। তখন কিছুটা দুর্বল হতে পারে।

তিনি জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। তবে, সকালের দিকে অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে। যতো বৃষ্টি হবে এটি তত দুর্বলের দিকে যাবে।

বজলুর রশিদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে অবস্থান করছে। সাতক্ষীরা উপকূলে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। বাতাসের সবোর্চ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় ১৫১ কিলোমিটার।

আম্পানের একটি অংশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঢুকে যশোর ও নড়াইল জেলার দিকে আজ রাতেই অগ্রসর হবে। এরপর মাগুরা, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ থেকে জামালপুরের দিকে এগিয়ে যাবে আজ মধ্যরাতের মধ্যে।

রাতে ঝড়ো হাওয়া থাকবে তাই মোংলা ও পায়রা বন্দরসহ সাতক্ষীরা ও সংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

Exit mobile version