Site icon Jamuna Television

অক্সফোর্ড’র করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা সফল হলে সেটির উৎপাদন শুরু করবে ভারতের বিখ্যাত সেরাম ইনস্টিটিউট। চলতি বছরই ভ্যাকসিনটি বাজারে আনতে প্রস্তুত তারা, যার ডোজ থাকবে একটি। তবে বহুল কাঙ্খিত এই ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার রুপির মধ্যে রাখতেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রতিবছর শুধু হাম আর পোলিও’রই দেড়’শ কোটি টিকা বাজারজাত করে প্রতিষ্ঠানটি। এবার করোনার প্রতিষেধক উৎপাদনেও প্রস্তুত সেরাম ইনস্টিটিউট।

টিকার দ্বিতীয় ধাপে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করা অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা সফল হলে, এতে সহযোগী হবে সেরাম। লক্ষ্য- বাণিজ্যিক উৎপাদন। প্রস্তাবিত ভ্যাকসিনটি হবে সিঙ্গেল ডোজের, ভারতে দাম হতে পারে এক হাজার রুপি। মাসে এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্য সেরামের।

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’র সিইও আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, হিউম্যান ট্রায়ালে থাকা ভ্যাকসিনটির সাফল্যের বিষয়ে আমি ৮০ ভাগ আশাবাদী। ট্রায়াল সফল হলে ভারতেও এটি পরীক্ষা করে দেখবো। সুরক্ষা ও কার্যকারিতার দিক ঠিক থাকলে অক্টোবর বা নভেম্বরেই বাজারে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন।

অক্সফোর্ড ছাড়াও একাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে সেরাম। নিজস্ব ল্যাবেও চালাচ্ছে কোভিড নাইনটিনের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা।

আদর পুনাওয়াল্লা বলেন, দু’সপ্তাহের মধ্যে অক্সফোর্ডের টিকা তৈরির কাজ শুরু করতে পারবো। প্রথম মাসে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর মাসে সেটি এক কোটিতে নিয়ে যাবো। আর বছরে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ মিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আমাদের।

ভারতের রপ্তানি করা ওষুধের প্রায় ৭০ শতাংশ উৎপাদন করে পশ্চিম ভারতের পুনে শহরে গড়ে ওঠা সেরাম ইনস্টিটিউট।

Exit mobile version